বাংলাদেশ-আমিরাত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন

6

ইউএই প্রতিনিধি

বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবীর উদ্যোগে বাংলাদেশের ৫৪ তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং বাংলাদেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক‚টনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে এক জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গত মঙ্গলবার রাতে আবুধাবীস্থ হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেল বলরুমে এ জমকালো অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ও আমিরাতের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর এবং অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আমিরাত সরকারের ফরেন আফিয়ার্সের আসিস্ট্যান্ট মিনিস্টার সুলতান আল শামসি। সম্মানিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন আমিরাতে অবস্থানরত পাকিস্তান, শ্রীলংকাসহ ৫০টি দেশের রাষ্ট্রদূতসহ কূটনৈতিকগণ। বিশেষ অতিথি ছিলেন দুবাইতে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন, ওয়ার্ল্ড সিআইপি এসোশিয়েসনের সভাপতি সিআইপি মো. মাহাতাবুর রহমান নাসির। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশ কনস্যুলেট, জনতা ব্যাংক, বিমানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও তাদের পরিবারবর্গ, প্রবাসী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, মিডিয়া কর্মীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, বর্তমানে ইউএইর সাথে বাংলাদেশের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে এবং আগামী বছর হতে তা পার্টনারশীপ পর্যায়ে উন্নীত হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সাল থেকে আরব আমিরাতে রিয়েল স্টেট এবং কনস্ট্রাকশন সেক্টরে কাজ শুরু করেছে।তার মাধ্যমে আমাদের বাংলাদেশী দক্ষ কর্মী এদেশে আসা শুরু করেছে। আজকে বাংলাদেশ এবং ইউএইর কূটনৈতিক সম্পর্কের অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশী। আরব আমিরাতের ১০ লাখের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশী আছে। তারা বিদেশে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক বুনিয়াদি থেকে প্রতিদিন তারা মজবুত করছে। আশা করছি আগামী দিনগুলোতে আমাদের এই সম্পর্ক আরো বিকশিত হবে। তিনি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশের আত্মসামাজিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি আরো বলেন, প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতিতে বড় একটি চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে আরো ব্যাপকভাবে রেমিটেন্স পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে আরব আমিরাতের আইন-কানুনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার কথা বলেন তিনি।