বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য কয়েক হাজার বছরের: অনুপম সেন

2

নগরীর হাজারী লেইনস্থ প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ভবনে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের উদ্যোগে দেশিয় পিঠা ও ফল উৎসব-২০২৪ এর আয়োজন করা হয়। ২৭ জুন সকাল সাড়ে ৯টায় এই উৎসবে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজবিজ্ঞানী ও শিক্ষায় একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা, ট্রেজারার এবং প্রকৌশল ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সাদাত জামান খান। দেশিয় পিঠা ও ফল উৎসবের আহŸায়ক ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাহীদ মো. আসিফ ইকবাল উৎসবে সভাপতিত্ব করেন। উদ্বোধক ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, বলা হয়ে থাকে- বাঙালি জীবনে বারো মাসে তেরো পার্বণ। সিএসই বিভাগের দেশিয় পিঠা ও ফল উৎসব এই পার্বণের অংশ, বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্যের অংশ। সুতরাং সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য এই দিনটি একটি বিশেষ দিন। তিনি বাঙালির সভ্যতাকে মুখ্যত গ্রামীণ সভ্যতা উল্লেখ করে বলেন, আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর আগেও বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ মানুষ গ্রামে বসবাস করতো। বিশ্বের নানা দেশের ৭০/৮০ শতাংশ মানুষও একসময় গ্রামে অর্থাৎ কান্ট্রিসাইডে জীবনযাপন করতো। আজ বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচুর লোক শহরে বাস করে। যারা শহরে বাস করে গ্রাম থেকে, গ্রামীণ সমাজ ও সংস্কৃতি থেকে তারা ধীরে ধীরে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আমাদের দেশের শহরের ছেলে-মেয়েদের দেখি, তারা গ্রামের ফলমূল প্রভৃতি সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না। এই উৎসব থেকে সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীরা আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য, কৃষি, জনজীবন ও গ্রামের ফলমূল সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা অর্জন করবে। আজ সারাবিশ^ একক সংস্কৃতিতে পরিণত হচ্ছে। এই একক সংস্কৃতির মধ্যেও আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য ঐশ^র্যপূর্ণ। একে রক্ষা করার ভার তরুণ প্রজন্মের।
উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ বাঙালি সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ দেশিয় পিঠা ও ফল উৎসবের আয়োজন করার জন্য সিএসই বিভাগ ও এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানান। উৎসবে নিউটন’স ফ্রুটোলজি, ফ্রুটিসাচ, কায়কোবাদ, স্মুথ৪০ স্টলে ফলের জুস, ফলের মিষ্টান্ন ও ফলের আচারের, এছাড়া নেমন্তন্ন, চৈতগ্রাম পিঠাকুটির, নকশি স্টলে বিভিন্ন পিঠা ও খাবারের প্রদর্শনী ছিল। স্মুথ৪০ আম, জাম, জামরুল, লটকন, কাউ, পাইন্যাগুলা, আনারস, কাঁঠাল, ঢেউয়া, চাপলাইশ কাঁঠাল, পেঁপে ও তরমুজ প্রভৃতি ফল প্রদর্শন করে। পিঠা ও খাবারের মধ্যে ছিল সাজের নাশতা, পাটিসাপটা, মুগপাকন, ঝাল পাকোড়া, শুকনা পিঠা, মিষ্টি, পুলি পিঠা, পায়েস, চালের নাড়–, তালের পিঠা, বাদাম নারকেল নাড়–, দুধ পুলি পিঠা, কদম পুলি পিঠা, ভাঁপা পুলি পিঠা, চিকেন ঝাল পিঠা, দুধ চিতই, ক্ষির পাটিসাপটা, মধুভাত ও বিনি চালের পিঠা প্রভৃতি।
উৎসবে চিত্র প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, দেশিয় খেলাধূলা, মাটি ও তালপাতার তৈরি শিল্পকর্ম এবং হাতে বানানো গয়না প্রদর্শনীর আয়োজনও ছিল। সিএসই বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি