বন্যাদুর্গতদের ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি চলছে পুনর্বাসন সহায়তা

4

দোহাজারী আলোর মুখের ত্রাণ বিতরণ
চন্দনাইশ দোহাজারী পৌরসভার আলোর মুখ” সংগঠনের উদ্যোগে লক্ষীপুর জেলায় বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৪’শত পরিবাওে শুকনো খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। শুকনো খাবারের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ঔষধ, ওরস্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, মোমবাতি, দিয়াশলাই, খাবার পানি বিতরণ করা হয়। সংগঠনের এক ঝাঁক তরুণ এ সকল খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ৩দিন ধরে লক্ষীপুরের বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকায় বিতরণ করেন। সংগঠনটির সভাপতি ফয়সাল মোহাম্মদ অভি, পরিচালক যথাক্রমে আবদুল্লাহ আল নোমান জিহাদ, মো. কামাল, মো. সজিব, মো. রবিন, মো. সাল্লাউদ্দীন, মো. তৌহিদ, মো. জিসান, মো. শাকিল, মো. ওবায়দুল্লাহ, মো. ফরহাদ, মো. শেফায়ত হোসেন, মো. আরাফাত প্রমুখ এতে উপস্থিত ছিলেন। চন্দনাইশ প্রতিনিধি

মমতার ত্রাণ ও মেডিকেল ক্যাম্প
দেশের উত্তর-প‚র্বাঞ্চলের জেলাসম‚হে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ এবং চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মমতা। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, আলু. তেল ইত্যাদি। এছাড়াও বন্যার্তদের মাঝে বস্ত্র সামগ্রী, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন, মহিলা ও কিশোরীদের মাঝে সেনিটারি সামগ্রী বিতরণ ও শুকনা খাবার তথা মুড়ি, চিড়া, গুড়, বিস্কুট, বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করেছে মমতা। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে আর্থিক অনুদান প্রদান করেছে মমতা। বন্যার্তদের জন্যে ত্রাণ সামগ্রী স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিবৃন্দের নিকট হস্তান্তর করেন মমতার প্রধান নির্বাহী একুশে পদকপ্রাপ্ত সমাজসেবক রফিক আহামদ। এছাড়াও বন্যা দুর্গত এলাকার মমতার শাখা সমূহের সদস্যদের মাঝেও ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-প্রধান নির্বাহী মো. ফারুক, সহকারী প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ শাহারিয়ার, পরিচালক ইকবাল আল মাহামুদসহ মমতার শাখার পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মীবৃন্দ। এছাড়াও কুমিল্লা, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আওতাধীন গুনবতী ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসায় গত ৩০ আগস্ট শুক্রবার সকাল হতে দিনব্যাপি মমতা স্বাস্থ্য কর্মস‚চীর উদ্যোগে বন্যার্তদের জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ঔষধ বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
মেডিকেল ক্যাম্পে ৬০৭ রোগীকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়। সেবাগ্রহীতাদের মাঝে ৪৪ প্রকারের বিভিন্ন ঔষধ বিতরণ করা হয়েছে।
এসময় মমতার প্রধান নির্বাহী একুশে পদকপ্রাপ্ত রফিক আহামদ বলেন, মমতা সমাজের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কল্যাণে বিগত চার দশকেরও বেশি সময় কাজ করে আসছে। এ দেশকে সমৃদ্ধ করতে ও যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলায় সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন। বিজ্ঞপ্তি

মিরসরাইয়ে বন্যার্তদের বালিশ, তোশক, বেডশিট প্রদান
‘মাটির ঘর হওয়ায় বন্যায় বসত ঘর ভেঙ্গে পড়েছে, কোন কিছু রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরে দেখি কোনভাবে দিনযাপনের উপক্রম নেই। সবাই ত্রাণ সামগ্রী দেয় কিন্তু বাসস্থান ছাড়াতো বেঁচে থাকা দায় হয়ে উঠেছে। এরমধ্যে গতানুগতিক ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের বাইরে গিয়ে ব্যতিক্রমী আয়োজন বালিশ, তোশক ও বেডশিট পেয়ে আমরা খুশি, যারা এই উদ্যোগে নিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’ এমনই বলছিলেন মিরসরাইয়ের ১ নং করেরহাট ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ছত্তরুয়া গ্রামের বাসিন্দা অমর দে, সমীর কর, কার্তিক দে ও দেবদুলাল দাস।
জানা যায়, স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় মিরসরাইয়ে যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ হওয়ার নয়। নানা সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্নস্তরের ব্যক্তিবর্গের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এরমধ্যে গতানুগতিক ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের বাইরে গিয়ে ব্যতিক্রমী আয়োজন ৫০০ বালিশ, ২৫০ তোশক, ২৫০ বেডশিট প্রদান করা হয়েছে। উপজেলার করেরহাট, কাটাছরা ও হিঙ্গুলী ইউনিয়নে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৫০ পরিবারের মাঝে এসব উপকরণ বিতরণ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীরা। শুক্রবার ও শনিবার এসব উপকরণ বিতরণ করা হয়।
করেরহাট ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম জোয়ার গ্রামের বাসিন্দা কবির আহম্মদ, আমিনুল হক ও আবু তাহের বলেন, ফেনী নদীর তীরবর্তী হওয়ায় আমাদের গ্রামে আমাদের ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা কোন কিছুই রক্ষা করতে পারিনি। আমাদের এই ক্রান্তিকালে বালিশ, তোশক ও বেডশিট পেয়ে আমরা অনেক খুশি।
বারইয়ারহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নিজাম উদ্দিন আনছারী বলেন, বালিশ, তোশক ও বেডশিট বিতরণের উদ্যোগটি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত চমৎকার উদ্যোগ। এই দুঃসময়ে তাদের জন্য এই উপকরণগুলো অনেক কাজে দিবে।
মিরসরাই উপজেলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বলেন, এক পর্যায়ে চিন্তা করলাম বন্যার্তদের বসতবাড়িসহ বসতঘরে থাকার সকল উপকরণ নষ্ট হয়ে গেছে। সেই ভাবনা থেকেই আড়াইশ পরিবারের মাঝে বালিশ, তোশক ও বেডশিট বিতরণের উদ্যোগ নিই। মিরসরাই প্রতিনিধি
বন্যার্তদের ত্রাণ বিতরণে রামগড় পৌর প্রশাসক
সা¤প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে সরকারি ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করেন পৌরসভা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম।২৯ আগস্ট সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত ১, ২, ৩ নং পৌর ওয়ার্ডে এবং বিকাল ২টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ৪, ৫, ৬, ৭, ৯ নং পৌর ওয়ার্ডের দুই হাজার ১শত আটচল্লিশ জন পরিবারের মাঝে সরেজমিনে উপস্থিত থেকে এ ত্রাণ(চাউল)প্রদান করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসমত জাহান তুহিন, অফিসার ইনচার্জ দেব প্রিয় দাস, জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিক এবং ওয়ার্ডভিত্তিক সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা বাছাইকারী ও বিতরণ টিম সাথে ছিলেন।
রামগড় পৌর সভার প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান,বর্তমানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কর্মহীন অসহায় হয়ে পড়া প্রতিটি পরিবারের হাতে সরকারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রামগড় পৌরসবার সহযোগিতায় ৮টি পৌর ওয়ার্ডে মোট ২ হাজার ১শত আটচল্লিশ পরিবারকে ১০ কেজি করে ত্রাণের চাউল বিরতণ করা হয়। তার মধ্যে ৮ নং ওয়ার্ডের ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যায়ক্রমে ত্রাণ(চাউল) বিতরণ করা হবে এবং ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান। রামগড় প্রতিনিধি