ফের বন্যায় প্লাবিত বাঘাইছড়ির নিম্ন এলাকা, পানিবন্দি ৫ হাজার পরিবার

2

রাঙামাটি প্রতিনিধি

গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও বৃষ্টিপাতে পাহাড়ি ঢলে বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদসহ ওইসব এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে ও নিরাপদ স্থানে চলে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। জরুরিভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসন ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করেছে। ৪-৫ হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে উজানের পানি বৃদ্ধি পেলে আরো অনেক পরিবার পানি বন্দী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নি¤œ অঞ্চলের প্রায় ৫শ’টি পরিবার নিকটতম আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদর ও পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে ছোট-খাটো পাহাড় ধসে মাটি ও গাছপালা রাস্তায় পড়ে গিয়ে সড়ক ব্যবস্থার বিঘ্ন ঘটছে। এতে বড় ধরনের কোন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। মারিশ্যা-দিঘিনালা সড়কে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা এবং মারিশ্যা-বাঘাইছড়ি থেকে অন্যান্য জেলা-উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
টানা ৪ দিনে থেমে-থেমে হালকা ও ভারী বৃষ্টিপাতে এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে বাঘাইছড়ির কাচালং নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বাঘাইছড়ি পৌরসভা সদরসহ মাস্টার পাড়া, পশ্চিম মুসলিম বøক, লাইল্যা ঘোনা, এফবøক, উগলছড়ি ও পুরাতন মারিশ্যা গ্রামসহ উপজেলার বঙ্গলতলী, রুপকারী, মারিশ্যা, মধ্যম বাঘাইছড়ি, খেদারমারা, সাজেক, বাঘাইহাট, সারোয়াতলী ও আমতলী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলসমূহ প্লাবিত হয়েছে। এবং সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ও বাঘাইহাট এলাকায় সড়কের অংশ বিশেষ তলিয়ে যাওয়ায় সাজেক পর্যটন এলাকায় শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে। এছাড়াও তলিয়ে গেছে চাষাবাদের অসংখ্য জমি।
বন্যায় প্লাবিত নিম্নাঞ্চলের মানুষজন আশ্রয় কেন্দ্রে ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে (উচু স্থানে) আশ্রয় নেওয়া শুরু করেছে এবং কৃষক ও খামারিরা তাদের গবাদি পশুগুলো নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে। গত ২৮মে ও বাঘাইছড়ির নি¤œ অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়েছিল। গত রবিবার রাত থেকে টানা বর্ষণে ২জুলাই ফের বন্যায় প্লাবিত হয়েছে বাঘাইছড়ি উপজেলার নিন্ম অঞ্চল।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার বলেন, টানা বৃষ্টিপাতের ফলে বাঘাইছড়ির নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যার কারণে ইতিমধ্যে উপজেলার সকল আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
নিম্নাঞ্চলের লোকদের আশ্রয় কেন্দ্রে ও নিরাপদে অবস্থানে নিয়ে আসার জন্য আহবান করা হয়েছে এবং বন্যার্তদের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। সর্ব শেষ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রায় ৫শ’ পানি বন্দি পরিবার উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে। রাতে পানি বৃদ্ধি পেলে আরো লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাবে।