ফের টেকনাফে মিয়ানমার বিজিপির ১৩ সদস্য

3

পূর্বদেশ ডেস্ক

জীবন বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১৩ সদস্য। তারা নাফ নদ পেরিয়ে টেকনাফে বিজিবির সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। গতকাল বুধবার সকালে টেকনাফের সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়া ও নয়াপাড়া সীমান্ত এলাকায় দিয়ে বিজিপির সদস্যরা আশ্রয় নেন। মূলত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে চলমান যুদ্ধের মধ্যে তারা বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেন। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
বিকালে পৌরসভার জালিয়াপাড়া নাফ নদের টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট ঘাটে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ। এ সময় টেকনাফ-২ বিজিবির মেজর ইশতিয়াক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
সীমান্তে যাতে কোনও অবৈধ অনুপ্রবেশ না ঘটে, সেজন্য বিজিবি সর্তক অবস্থানে আছে উল্লেখ করে বিজিবির অধিনায়ক বলেন, আজ (বুধবার) নতুন করে আরও ১৩ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১২৩ জন বিজিপির সদস্য আমাদের হেফাজতে আছেন। শিগগিরই তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার ফেরত পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৬৩ সাল থেকে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। তবে বিজিবি ৫৪ কিলোমিটার সীমান্ত জলসীমাজুড়ে নিশ্চিদ্রভাবে টহল কার্যক্রম চালাচ্ছে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে। মূলত ১৩ নভেম্বর ২০২৩ থেকে আমাদের পার্শ্ববর্তী মিয়ানমারে তাদের অভ্যন্তরীণ গোলযোগের কারণে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে উদ্ভূত পরিস্থিতি হয়েছে এবং উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্তে টহল জোরদার করেছি