ফটিকছড়িতে দুই ভাই খুনের আসামি কারাগারে

2

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি

পারিবারিক কলহের জের ধরে ফটিকছড়ির জাফতনগর এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত দুই ভাই মো. জাহাঙ্গীর ও মো. আলমগীর হত্যাকাÐের ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার পর এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার নিগার সুলতানা নামক ওই নারীকে আদালতে প্রেরণ করে ফটিকছড়ি থানা পুলিশ। এর আগে তার জবানবন্দি নেয় আদালত। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নুরে আলম।
ঘটনার পরের দিন ৪ সেপ্টেম্বর নিহতদের আরেক ভাই মো. রাসেল ফটিকছড়ি থানায় বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে নিগার সুলতানার নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাফর মাহমুদ সালেহ জানান, মামলার পর পরই অভিযান চালিয়ে মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। সেখান জবানবন্দি দিয়ে হত্যাকাÐে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন আসামি নিগার সুলতানা।
আবু জাফর জানান, আসামি নিগার সুলতারা জবাদবন্দিতে বলেছেন- তিন বছর আগে তার বাড়ির কাজের একজন মিস্ত্রির সাথে পরকিয়ার অভিযোগ এনে দেবরদের কথায় তার স্বামী রেজাউল করিম তাকে তালাক দেয়। তখন নিগার সুলতানা একটি মামলা দায়ের করেন। পরে তখনকার স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে একটি বিচার কার্যক্রম হয়। সেই বিচারে নিগার সুলতানাকে ৬ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য তার স্বামী রেজাউল করিমকে বলা হয়। কিন্তু রেজাউল করিম সেই টাকা না দেয়ায় নিগার সুলতানা ২ ছেলে ১ মেয়েকে নিয়ে রেজাউল করিমের ঘরে থেকে যান। ঘটনার বিকেলে মেয়েকে নিয়ে তার রুমে ঘুমাতে যান নিগার সুলতানা। এ সময় রেজাউল করিমসহ তার দেবর রাসেল, আলমগীর, জাহাঙ্গীর তাকে এবং তার মেয়েকে মারতে থাকে। কোনোমতে তার মেয়ে নাজিফা নাসরিন ঘর থেকে দৌড়ে তার সমাজের মানুষদেরকে জানায়। তারা গিয়ে মারধরের প্রতিবাদ করলে রেজাউল করিম, জাহাঙ্গীর, আলমগীর, রাসেল সমাজের মানুষের উপর হামলা করে। এতে আফাজ, বোরহান, সাবু, বাচ্চু, রায়হান আহত হয়। এসময় এলাকার ৫ হাজার মানুষ জড়ো হয়ে আলমগীর ও জাহাঙ্গীরকে গণপিটুনি দেয়। এতে তারা নিহত হয়। ওই সময় নিগার সুলতানা পালিয়ে গিয়ে প্রতিবেশী আরেক দেবরের ঘরে লুকিয়ে থাকেন।
নিহতদের আরেক ভাই মো. রাসেল, আমার ভাইদের যারা হত্যা করেছে তাদের সর্বোচ্চ বিচার চাই। কেউ যেন ছাড় না পায়। তিনি আরো বলেন, বড় ভাই করিম তাদের হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন।