প্রশ্নফাঁসে জড়িত ১০ জনের সাজা খালাস ১১৪

2

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাত বছর আগের ঘটনায় ঢাকার শাহবাগ থানার মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে ১০ জনের সাজা হয়েছে, যেখানে ১১৪ জন বেকসুর খালাস পেয়েছেন। গতকাল রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম হাসিবুল হক এই রায় দেন।
আদালত সাতজনকে চার বছর করে এবং তিনজনকে দুই বছর করে কারাদন্ড দিয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পেশকার শিশির হালদার। তবে সাজাপ্রাপ্তদের নাম বলতে পারেননি শিশির হালদার। সাজাপ্রাপ্তরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হলে অভিযান চালিয়ে মামুন ও রানা নামে দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন পরীক্ষার হল থেকে গ্রেপ্তার হন রাফি নামে এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।
গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিআইডি শাহবাগ থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারা ও পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৯ (খ) ধারায় মামলা করেছিল।
২০১৯ সালের জুনে সিআইডির সিনিয়র এএসপি সুমন কুমার দাস ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চার্জশিটে দাখিল করেন, তাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
তবে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারার দায় থেকে অব্যাহতি পান আসামিরা। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত মামলার অভিযোগ থেকে একজনকে অব্যাহতি দেয়, বিচার শুরু হয় ১২৪ জনের।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, প্রশ্নপত্র ফাঁসের হোতা ছিলেন হাফিজুর রহমান, ইব্রাহীম, মোস্তফা কামাল ও আইয়ুব আলী বাঁধন। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেন।