প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

1

হাটহাজারী প্রতিনিধি

হাটহাজারী পৌরসভার আলীপুর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান বাবরের পদত্যাগের দাবিতে ক্যাম্পাসে স্থানীয় এলাকাবাসী, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও ছাত্রসমাজ বিক্ষোভ করেছে। গতকাল বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও প্রতিষ্ঠানের অর্থ লুটপাটের অভিযোগ এনে এ বিক্ষোভ করে বলে জানায় বিক্ষোভকারীরা।
ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিদের্শে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ও থানা পুলিশ দ্রæত ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভ বন্ধ করে প্রধান শিক্ষককে তাদের নিরাপদ হেফাজতে নিয়ে আসেন বলে জানা গেছে। এর আগে বিক্ষোভকারীরা তাকে প্রধান শিক্ষক পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করলে তিনি অস্বীকৃতি জানালে বিক্ষোভকারীরা তাঁর উপর চড়াও হয়ে তাকে পিটিয়ে আহত করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসী মো. মামুন অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান বাবর একজন দুর্নীতিবাজ শিক্ষক, তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তিনি স্বৈরাচারী সরকারের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নেতাদের ছত্রছায়ায় উক্ত প্রতিষ্ঠানটিকে দুর্নীতির আখড়া বানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের সব আর্থিক কাজে ১০% নিয়ে থাকেন। বিশেষ করে প্রতি ক্লাসের স্পেশাল কোচিংয়ে। আবার ক্লাস না করেও বাড়তি টাকা নেন। প্রয়োজনের সময় তাকে বিদ্যালয়ে পাওয়া যায় না। তিনি প্রায়ই বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন।
ঘটনার সত্যতা জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান বাবর এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে এলাকার একটি গোষ্ঠি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিদ্যালয়ে এসে আমাকে প্রধান শিক্ষক পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে। এসময় পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানালে বিক্ষোভকারীরা আমার উপর চড়াও হয়ে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাটহাজারীর ইউএনও এ বি এম মশিউজ্জামান জানান, বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান বাবরের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভকারীরা আমার অফিসে আসলে তাদের সাথে আমার কথা হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাদের কোন অভিযোগ থাকলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।