প্রতারণা মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার

6

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতারণা মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মো. মিজানুর রহমান প্রকাশ মনাইয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নানা কৌশলে ও ছদ্মনামে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। মো. মিজানুর রহমান কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার মাইজ ঘোনা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, আসামি মো. মিজানুর রহমান মনাইয়া নগরীর নাসিরাবাদ রহমান কর্পোরেশনে কর্মরত মামলার বাদী রঞ্জন বড়ুয়ার কাছ থেকে চুক্তিমূলে নগদে ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং চেকের মাধ্যমে ৬ লাখ ৯০ হাজারসহ মোট ১২ লাখ টাকা ধার নেন। পরে সে টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো প্রতারণার আশ্রয় নেন। বাদী টাকা উদ্ধারে আসামিকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন। এতেও তার কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া না যাওয়ায় ২০১৯ সালের ১৫ মে থানায় অভিযোগ দায়েরের পর আদালতে প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। ২০২২ সালের ৪ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে দÐবিধির ৪২০ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। তবে আসামি শুরু থেকেই পলাতক থাকে। তিন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণ, মামলার সার্বিক বিষয় থেকে আদালতের কাছে আসামি প্রতারণা করেছে বলে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়। এ কারণে আসামির বিরুদ্ধে দুই বছর সশ্রম কারাদন্ড, পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালত। প্রতিবারই পলাতক থাকায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি ওয়ারেন্ট জারি করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. অলি উল্লাহ। অনেকদিন পর হলেও আসামি গ্রেপ্তার হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী রঞ্জন বড়ুয়া। তিনি আদালতের কাছে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেছেন।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘প্রতারণা মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মো. মিজানুর রহমান প্রকাশ মনাইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সে দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে নানা কৌশলের আশ্রয় নেয়। তবে শেষমেষ রক্ষা হয়নি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।’