পোশাক শিল্পের উৎসে কর বাতিল করা হোক

4

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বৃহৎ বৈদেশিক মুদ্রা আয়কারী পোশাক শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে শূন্য (০) শতাংশ করার প্রস্তাব জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিএমসিসিআই)।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় এ প্রস্তাব তুলে ধরেন মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রেসিডেন্ট খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, যেহেতু বিশ্ব অর্থনীতি মন্দা, তাই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, শ্রমিকের বেতন বৃদ্ধি, ডলার সংকট এবং দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধি হওয়ায় মূল্যস্ফীতি ১০ এর কোঠায় উঠে গেছে, বর্ধিত উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে সেহেতু পোশাক শিল্পের উৎসে কর বাতিলের প্রস্তাব করছি।
খলিলুর রহমান বলেন, করোনা মহামারি থেকে শুরু করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে সৃষ্ট বৈশ্বিক মন্দায় নানা মূখী অর্থনীতি চাপের মুখেও দেশের অর্থনীতিকে চলমান রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী কর্তৃক ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ শিরোনামে দেশের উন্নয়নে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার চ্যালেঞ্জিং বাজেট প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও র্অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এ ধরনের বাজেট প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সময়ে যথোপযুক্ত এবং সাহসী পদক্ষেপ হলেও তা বাস্তবায়নে যথাযথ তদারকি এবং নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কে রাজস্ব আহরণের জন্য ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার যে লক্ষ্য মাত্রা দেওয়া হয়েছে তার যথাযথ তদারকি এবং সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা না গেলে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে। বিদেশী ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদ বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাবদ বরাদ্দ কমানোর ফলে জনগণের জীবনযাত্রার খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে।
এছাড়া নিয়মিত কর প্রদানকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উপর করের বোঝা না বাড়িয়ে নতুন করদাতা সৃষ্টির উপর গুরুত্ব প্রদান সহ পরিবহন ও যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী এবং শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। করদাতাদের হয়রানি কমাতে আয়কর রিটার্ন অ্যাসেসমেন্টের বিধান বাতিল করায় ব্যক্তি ও কোম্পানি দুই শ্রেণির করদাতাই কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বাজেটে ঘাটতি মোকাবেলায় দেশি বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে সচেতনতার প্রয়োজন বলে মনে করি। বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে বরাদ্দকৃত অর্থের সঠিক তদারকী এবং জবাবদিহিতার আওতায় আনলে ব্যয় বৃদ্ধি ও সময়ক্ষেপন হ্রাস পাবে। এ ক্ষেত্রে প্রকল্প পরিচালকের বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার জবাবদিহিতার জন্য প্রতি ত্রৈমাসিক অন্তর প্রকল্প অগ্রগতির রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রেরণ সহ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করি। জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমানোর লক্ষ্যে সম্পূরক শুল্ক মূল্যবৃদ্ধি সময়োপযোগী বলে মনে করি।