পুষ্টিকর বীটের জুস

12

বর্তমান সময়ে অনেকেই একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগেন। এর মধ্যে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা, অ্যালার্জি, লিভার-কিডনির সমস্যাসহ অনেক রোগ শরীরে বাসা বাধে। তবে রোগমুক্ত জীবন চাইলে প্রতিদিন বীটের জুস একগ্লাস করে খেতে পারেন। এতে শরীর সুস্থ থাকবে।
এর নাইট্রেট শরীরে প্রবেশ করে নাইট্রিক অক্সাইডে পরিণত হয়ে যয়। এই উপাদান রক্তনালীকে প্রসারিত করে, এমনকি বিশ্রাম করার সুযোগ দেয়। এত হাই ব্লাড প্রেশার কমে। এই শীতে টাটকা বীটে অবশ্যই বানিয়ে খান এই জুস।
পরামর্শ :
এই জুস ১০ বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের দেবেন না। সুগারের রোগীরাও খাবেন না। এতে বাড়তে পারে রক্তশর্করা।
১। একটি বীট খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। খোসা ছাড়িয়ে গাজরও ছোট টুকরো করে নিতে হবে। মিক্সিতে এই টুকরো করা গাজর, বিট, আপেল কুচি মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। সঙ্গে একটু আদা কুচিও দেবেন।
২। মিহি করে পেস্ট করে এর মধ্যে এক বড় গ্লাস পানি মিশিয়ে আবারও বেøন্ড করে নিন। এবার তা পরিষ্কার সাদা সুতির কাপড়ে ছেঁকে নিতে হবে। এতে রংও খুব সুন্দর আসবে। এই জুসে কোনও রকম চিনি মেশাবেন না।
৩। পরিবেশন করার আগে এর উপর পাতিলেবুর রস একটু দিন। তবে এই জুস বানিয়ে বেশিক্ষণ ফেলে রাখবেন না। চেষ্টা করবেন তা সঙ্গে সঙ্গে খেতে। সপ্তাহে দুদিন বানিয়ে খেলেই হবে। হার্ট, কিডনি, লিভারের যে কোনও সমস্যায় খুব ভালো কাজ করে বিটের এই জুস। বিটের জুসে থাকে নাইট্রেট যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।