পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ টানা বৃষ্টিতে চকরিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

7

চকরিয়া প্রতিনিধি

কক্সবাজারের চকরিয়ায় টানা তিনদিনের ভারী বর্ষণ ও মাতামুহুরি নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকদের রোপিত ধান ও বিভিন্ন ফসলি ক্ষেত। বন্যায় উপজেলার অন্তত ১০টি ইউনিয়নের ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। খাবার ও গাবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এসব লোকজন। গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছে টানা বর্ষণ। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে উজান থেকে নেমে আসে পাহাড়ি ঢল। এতে উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ে। ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকদের রোপা ধান ও সবজি ক্ষেত। এখনো থেমে থেমে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধ্বসের আশংকা দেখা দিয়েছে। এতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত অন্তত ২ হাজারেরও অধিক বসতি ঝুঁকিতে রয়েছে। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চিরিঙ্গা-মানিকপুর সড়কের পাহাড়তলী এলাকায় চলাচলের সড়ক ধ্বসে পড়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক বলেন, সড়কটি সংস্কারে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে কাজ চলমান রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক পরিদর্শন করেছেন।
বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছালেকুজ্জামান বলেন, বরইতলী ইউনিয়নের নীচু এলাকায় বসবাসরত কয়েকশত পরিবার ও বসতবাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করা লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, চুয়ারফাঁড়ি ও ঢেমুশিয়া জলমহালের স্লুইসগেট গুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির পানি যাতে দ্রুত সরে যেতে পারে এ লক্ষ্যে কাজ করার জন্য বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে রচেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।