পরিবেশ সুরক্ষা মানব অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে

5

বাবুল কান্তি দাশ

ইংরেজি শব্দ ‘এনভায়রনমেন্ট’। উনিশ শতকের আগে এর ব্যবহার বিরল। বিশ শতকেও বহু দিন অবধি অর্থ ছিল চারপাশ, পরিমন্ডল, ইত্যাদি। ষাটের দশকে, দূষণের প্রশ্ন ক্রমশ সামনে এল, ‘এনভায়রনমেন্ট’ শব্দে বাড়তি অর্থের সংযোজন হল: মানুষের কর্মকান্ডে সংকটাপন্ন প্রাকৃতিক পরিমন্ডল এবং সম্পদ। কবে যেন ইংরেজি ‘এনভায়রনমেন্ট’-এর বাংলা হয়ে গিয়েছে ‘পরিবেশ’। এখানেও দু’রকম অর্থ। প্রথমটি নিরীহ; দ্বিতীয়টিতে সমস্যা-সংকটের ব্যঞ্জনা। পৃথিবীর সৌন্দর্য ধরে রাখতে হবে নিজেদের। তবেই উপভোগ করা যাবে প্রকৃতির রূপ। ক্রমবর্ধমান মানবসভ্যতার উন্নয়ন এর নামে দশকের পর দশক প্রকৃতিকে অবহেলা করে বিপর্য্যস্ত করে আজ আমরা ভয়াবহ এক বিপদে। কবি টেড হিউজের লেখা “ মাই ওন ট্রæ ফ্যামিলি” কবিতায় তিনি উল্লেখ করেছেন – আমাদের সত্যিকার পরিবার হলো এই প্রকৃতি এবং এর গাছপালা, জীবজন্তু, পাখপাখালি সমস্ত কিছু। লোভী অর্থপিপাসু মানুষই নগর সভ্যতার পত্তনের জন্য নির্বচারে নিষ্ঠুরভাবে গাছপালা কেটেছে, বন জঙ্গল উজাড় করেছে। যার প্রভাব ইতোমধ্যে আমরা উপলব্ধি করতে পারছি। পরিবেশকে নিয়ত দূষিত করছি, তার স্বাভাবিকতা নষ্ট করছি। জড় জগতের বৈভব, প্রাচুর্য বিলাসবহুল জীবনযাত্রার মোহে আমরা মেনে নিয়েছি “ইটের পর ইট, মধ্যে মানুষ কীট” নাগরিক জীবনকে।পরিবেশের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, মানুষ ও তাঁর চারপাশের গাছপালা, বায়ু, জল, মাটি—যা কিছুকে কেন্দ্র করে সে বেঁচে থাকে তা-ই তাঁর পরিবেশ। প্রাচীন গ্রন্থগুলিতেও বলা হয়েছে ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ, ব্যোম— পঞ্চভূতের কথা। বলা হয়েছে, মানুষ-সহ যাবতীয় প্রাণ এই পঞ্চভূত থেকেই সৃষ্ট, পঞ্চভূত দ্বারাই গঠিত এবং এতেই লয়প্রাপ্ত হবে। প্রাচীন দর্শনে মানুষ প্রকৃতি-বিচ্ছিন্ন কোনও সত্তা নয়, বরং প্রকৃতির আর পাঁচটা জীবের মতোই সেও একটি জীব। অথচ অহংকারে বলীয়ান মানুষ নিজেকে প্রকৃতি বিচ্ছিন্ন হিসেবেই দেখতে ভালবাসে। কিন্তু বিজ্ঞানও বলছে, প্রকৃতির বেশিরভাগ জীবের বেঁচে থাকে আদৌ মানুষের বেঁচে থাকার উপরে নির্ভরশীল ছিল না। বরং মানুষের অস্তিত্ব ছিল তাদের বেঁচে থাকার উপরে নির্ভরশীল। সেই পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে বেঁচে থাকতে মানুষকে দীর্ঘ সংগ্রাম করতে হয়েছে। এক দিন এই বেঁচে থাকার সংগ্রাম ভোগবাদী লালসা মেটানোর ইচ্ছায় পরিণত হয়। যার নীট ফল, প্রকৃতির অন্য উপাদান অর্থাৎ পাখি, পশু ইত্যাদির বিপন্নতার সঙ্গে সঙ্গে মানুষেরও বিপন্নতার সুর বাজতে শুরু করেছে। প্রকৃতি থেকে ধারাবাহিক ভাবে বহু প্রজাতির পাখি ও পশু হারিয়ে যাচ্ছে। বউ কথা কও, ইস্টিকুটুম, নীলকণ্ঠের মতো পাখিদের আর সে ভাবে দেখা মেলে না। কমে গিয়েছে হাড়গিলে, শকুনেরাও। শহরাঞ্চলে এই দশকের গোড়ার দিকেও শোনা যেত চড়ুইদের কিচিরমিচির। সে আজও শোনা যায় না। ময়না, কাকাতুয়ার মতো পাখিরাও বিপন্ন। শুধু প্রাণী নয়, বিপন্ন হয়েছে উদ্ভিদেরাও। আজ আর সহজে ফলসা, আঁশফল, ডেলোর মতো ফলের গাছেদের দেখা মেলে না। এর জেরে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পাখিদের খাদ্য ব্যবস্থায়। আবার ঝোপজঙ্গলের অভাবে লোকালয়ে চলে আসছে গন্ধগোকুল, বাঘরোলের মতো প্রাণীরা। ইতিমধ্যে ভোঁদর-সহ নানা প্রাণী বিপন্নের তালিকাভুক্ত হয়েছে। বিপন্ন গাধার মতো প্রাণীরাও। হারিয়ে যেতে বসেছে বাংলার খালবিলের মৌরলা, পুঁটি, বেলের মতো মাছেরা। তাতে টান পড়তে শুরু করেছে দরিদ্র শ্রেণির মানুষের খাদ্যভান্ডারেও। প্রাচীনকালে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকে মানুষ অন্যতম কর্তব্য বলেই বিবেচনা করত। ফলে, আলাদা করে পরিবেশ বাঁচানোর আন্দোলনের দরকার হয়নি। পরে, প্রাকৃতিক পরিবর্তনের হার এত তীব্র হয়েছে যে, তাকে রক্ষা করার ডাক দিয়ে বারবার পথে নামতে হয়েছে মানুষকে। পরিবেশ সুরক্ষায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেমন কলম ধরেছেন ঠিক তেমনিভাবে কর্মকুশল সক্রিয় প্রচেষ্টায় প্রয়াসী হয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাংলার পল্লীজীবন ও নগরজীবন— দুইয়ের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ পরিচয় থাকায় তাঁর নিজের মতো করে পরিবেশ রক্ষায় প্রয়াসী হয়েছিলেন। শিলাইদহ, শান্তিনিকেতন, সুরুল, কালীগ্রামের মতো নানা স্থানে প্রাকৃতিক ভারসাম্যকে বিঘ্নিত না করে মানুষের উন্নতির চেষ্টা তাঁর ‘সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট’ বা স্থিতিশীল উন্নয়ন সংক্রান্ত চিন্তারই পরিচয়বাহী। তবে সে সময়ে বিষয়গুলি তত্ত্বাকারে গড়ে ওঠেনি। হলকর্ষণ, বৃক্ষরোপণ প্রভৃতি উৎসব চালু করার থেকে বোঝা যায় সমস্যার মূলে রবীন্দ্রনাথ পৌঁছতে পেরেছিলেন। পরিবেশকে কেন্দ্র করে আন্দোলন ও কর্মসূচি গ্রহণের সূত্রপাত মূলত বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকে। এই আন্দোলনের সূত্রপাতে রাচেল কার্সনের ‘সাইলেন্ট স্প্রিং’ গ্রন্থের ভূমিকা অপরিহার্য। ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘ পাঁচ জুন দিনটিকে বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসেবে পালনের ডাক দেয়। তা পালিতও হচ্ছে। কিন্তু পরিবেশ দূষণও চলছে। এ ভাবে আর কতদিন চলবে? পরিবেশ রক্ষার কাজে আর কবে সবাই মিলে উদ্যোগী হব? সে প্রশ্ন করার সময় পেরিয়ে গিয়েছে। বর্তমানে নিজেদের প্রশ্ন করার দরকার, আদৌ কি এগোতে পারছি আমরা? পরিসংখ্যান কিন্তু বলছে, মানুষের সভ্যতা আরও ভয়াবহ সঙ্কটের সম্মুখীন হতে চলেছে। ১৯৭২ থেকে এই বায়ান্ন বছরে পরিবেশ দিবস উদ্যাপনের জৌলুস বিস্তর বেড়েছে। দুনিয়া জুড়ে সভা, সমাবেশ, বক্তৃতা, প্রদর্শনী, বৃক্ষরোপণ, পরিবেশ রক্ষার অঙ্গীকার ইত্যাদি আচারের কোনও অভাব বিগত বছরগুলোতে ঘটেনি। তার ব্যতয় ঘটবে না এবছরও। কিন্তু গুরুত্ব ও তাৎপর্যের বিচারে অন্য এমন নানা ‘দিবস’-এর সঙ্গে এই দিনটির একটি মৌলিক পার্থক্য আছে, যার মূলে কাজ করছে, আক্ষরিক অর্থেই, অস্তিত্বের প্রশ্ন। গত তিন দশকে বিশ্ব পরিবেশের সঙ্কট সম্পর্কে দুনিয়ার মানুষ উত্তরোত্তর ওয়াকিবহাল হয়েছেন। গত এক থেকে দেড় দশকের মধ্যে সেই সঙ্কটের ধারণা দ্রæতগতিতে জোরদার হয়েছে, ২০১৫ সালের শেষে প্যারিসে জলবায়ু সম্মেলনে যে প্রক্রিয়া একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়— পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের গড়পড়তা তাপমাত্রাকে শিল্পবিপ্লবের পূর্ববর্তী যুগের তুলনায় সর্বোচ্চ ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উপরে বেঁধে ফেলার অঙ্গীকার করেন বিশ্বের রাষ্ট্রনায়করা। কিন্তু প্রতিশ্রæতির তুলনায় কাজের কাজ বিস্তর পিছিয়ে। উত্তর মেরু-সহ গ্রহব্যাপী হিমবাহের ক্ষয় চলছে অবিরাম গতিতে, ‘চরম আবহাওয়া’র প্রকোপ বেড়ে চলেছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে, রাষ্ট্রপুঞ্জের সর্বশেষ সমীক্ষা অনুসারে আর চার বছরের মধ্যেই ১.৫ ডিগ্রির বিপদসীমা লঙ্ঘিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। কিন্তু শুধু তাপমাত্রা নয়, অরণ্য-সংহার এবং জীববৈচিত্রের ক্ষয়ক্ষতি থেকে শুরু করে প্রকৃতি ও পরিবেশের অন্য সমস্ত ধরনের বিপদও অবিশ্বাস্য গতিতে বেড়ে চলেছে। এই গ্রহের ইতিহাসে ষষ্ঠ ‘এক্সটিংশন’ বা মহাপ্রলয়ের সম্ভাবনা উত্তরোত্তর জোরদার হয়ে উঠছে। এর আগের পাঁচটি প্রলয়ে গ্রহবাসী প্রাণীদের কোনও দায় ছিল না, কিন্তু শিল্পবিপ্লবের পরবর্তী দুই বা আড়াই শতাব্দীর মধ্যে মানুষ নামক প্রজাতি প্রকৃতি-পরিবেশের উপর যে অকল্পনীয় অত্যাচার চালিয়েছে এবং চালিয়ে যাচ্ছে, পরবর্তী প্রলয় হবে তারই পরিণাম। বিশ্ব পরিবেশ দিবসের অর্ধশতক পার হল বটে, শতবার্ষিকী উদ্যাপনের সুযোগ মানুষ পাবে তো? প্রশ্নটা সারা বিশ্বের পক্ষে সত্য, তবে সমস্ত দেশের বা অঞ্চলের পক্ষে সমান সত্য নয়, একই অঞ্চলের সব মানুষের পক্ষেও সমান প্রাসঙ্গিক নয়।
মহাপ্রলয়ের ধারণাটি যত চিত্তাকর্ষক, ততটা বাস্তবসম্মত না-ও হতে পারে। গোটা পৃথিবী একই সঙ্গে একই ভাবে বিপর্যস্ত হবে, এমনটা আদৌ অবধারিত নয়। ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে, সমুদ্রের উপক‚লবর্তী অঞ্চলগুলির বিপদ সর্বাধিক, এমনকি তাদের বিরাট অংশের অস্তিত্বই বিপন্ন— বহু এলাকা ইতিমধ্যেই সমুদ্রের গ্রাসে চলে গিয়েছে। আবার, অনেক এলাকায় সুতীব্র অনাবৃষ্টির প্রকোপ বাড়তে পারে। এবং এই সমস্ত ক্ষেত্রেই সর্বাধিক আক্রান্ত হচ্ছে ও হবে দরিদ্র অধিবাসীদের জীবন-জীবিকা। ‘একটাই পৃথিবী’ নামক প্রচারের আড়ালে আছে চিরাচরিত অসাম্যের বাস্তব— পিলসুজের উপরে প্রদীপের আলো আর নীচে অন্য ইতিহাস। ভারতের মতো দেশে সমস্যার মাত্রা আরও বেশি। এক দিকে বিপুল অনগ্রসরতা, অন্য দিকে বিরাট ও ক্রমবর্ধমান অসাম্য, দুইয়ের যৌথ প্রকোপে পরিবেশের সঙ্কট এক বিভীষিকায় পরিণত হচ্ছে। অথচ এই বিভীষিকার মাত্রা সম্পর্কে সমাজ এবং রাষ্ট্র, কেউই যথেষ্ট সচেতন নয়। প্লাস্টিক নামক দানবটিকে নিয়ন্ত্রণের উপরে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হলেও তা নিয়ন্ত্রণে আশানুরূপ সফলতা আসেনি। দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে প্লাস্টিকের সাম্রাজ্য অপ্রতিহত। অন্য দিকে, উন্নয়নের গতি ও প্রকৃতি নির্ধারণে পরিবেশকে তার প্রাপ্য গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা এখনও অতিমাত্রায় দুর্বল। দেশের রাজনৈতিক পরিমন্ডলে পরিবেশ-সংক্রান্ত বিষয়ের গুরুত্ব কতটা, তা দলগুলির নির্বাচনী ইস্তাহারে চোখ বুলোলেই বোঝা সম্ভব। পরিবেশ-সংক্রান্ত বিষয়ের উল্লেখ একেবারেই থাকে না, সে কথা বললে সত্যের অপলাপ হবে। কিন্তু প্রশ্ন হল, অন্যান্য বিষয় যত জোরালো ভাবে থাকে, পরিবেশ কি তার সিকিভাগ গুরুত্বও পায়? কেউ অবশ্য বলতে পারেন, বেকারত্ব, সাম্প্রদায়িকতা ইত্যাদি হাজার সমস্যা আছে। নির্বাচনে সেগুলিকে বাদ দিয়ে পরিবেশের কথা বললে মানুষ শুনবে কি? পেটে ভাত না জুটলে পৃথিবী উষ্ণতর হচ্ছে কিংবা ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ বাড়ছে, এ সব কথা মানুষের শোনার সময় কোথায়?বেকারত্ব কিংবা অন্যান্য সমস্যা যে মানুষের কাছে অনেক বেশি প্রকট, সে কথা অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু প্রশ্ন জাগে, যদি পৃথিবী ক্রমাগত ধ্বংসের দিকে এগোয়, যদি বেঁচে থাকার পরিবেশ না-থাকে, তা হলে ভোটই বা দেবে কে, কর্মসংস্থান কিংবা উন্নয়নের সুযোগই বা নেবে কে? পরিবেশের সঙ্গে অর্থনীতি, জীবনযাত্রা ইত্যাদির যে ওতপ্রোত সম্পর্ক, সে কথা কি রাজনৈতিক তরজায় এসেছে? দিনভর রাজনৈতিক বিতর্কে যত শব্দ নানাবিধদুর্নীতি নিয়ে ওঠে, তার ছিটেফোঁটাও পরিবেশ-সংক্রান্ত অনিয়ম কিংবা ‘উন্নয়ন’-এর ধাক্কায় পরিবেশ-দুর্গতদের নিয়ে হয় না। মনে হয়, পরিবেশ-দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিলিই বুঝি রাষ্ট্র এবং সমাজের একমাত্র কর্তব্য! নাগরিক সমাজের মুষ্টিমেয় লোক যে পরিবেশের কথা ভাবেন না, বা পরিবেশ আন্দোলনে শামিল হন না, এমন নয়।
পরিবেশকর্মীদের বিভিন্ন সংগঠন আছে, তারা নিজেদের মতো চেষ্টা করে। কোথাও তা আঞ্চলিক স্তরে, কোথাও বা একদমই স্থানীয় স্তরে। যে ভাবে শহর এবং শহরতলিতে গাছ কমছে, তাতে নাগরিকদের মধ্যে সেই উদ্বেগ তো চোখে পড়ে না। উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন স্হানে ‘উন্নয়ন’-এর শিকার হচ্ছে বহু প্রাচীন মহীরুহ। তাদের বাঁচাতে নাগরিকদের অনেকে একজোট হয়েছেন। নিত্যদিন যে ভাবে নাগরিকেরাও আইনের ফাঁক গলে কিংবা প্রশাসনিক ঔদাসীন্যের দৌলতে পরিবেশকে নষ্ট করছেন, তাতে গাছের মৃত্যু কিংবা পরিবেশের ধ্বংস ভোটের ভাগ্য নির্ধারণ করবে, এমন ভাবা মুশকিল। গত কয়েক বছর ধরে বিশ্ব উষ্ণায়ন, জলবায়ু বদলের মোকাবিলায় বার বার বৈঠক করেছেন রাষ্ট্রনেতারা।
পৃথিবীকে যে বাঁচাতে হবে, এ নিয়ে রাষ্ট্রনেতারা কখনও দ্বিমত হননি। শুধু কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের দায়িত্ব কে নেবে, তা নিয়েই যত বিতন্ডা। উন্নত বনাম উন্নয়নশীল দুনিয়ার ক‚টনৈতিক দড়ি টানাটানি শেষে কিছু সমাধানের পথ বেরিয়েছে। সেই পথে হাঁটার জন্য গালভরা আশ্বাস দিয়ে চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে সমাধানের ‘পথে’ পথিক কি হতে পেরেছেন রাষ্ট্রনেতারা? কেউ কেউ অবশ্য বলতেই পারেন, এক দিনে তো হবে না। হ্যাঁ তা ঠিক। এহেন বৃহৎ সমস্যা রাতারাতি সমাধান সম্ভব নয়। মানব অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আমাদের যেতে হবে সেইদিকে। সেই সমাধানের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ -সহ বিভিন্ন দেশ। পরিবেশ সুরক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক বেশী সক্রিয় এবং সোচ্চার। পরিবেশ সুরক্ষায় আমাদের কাজগুলো হউক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উচ্চ কণ্ঠের হার।

লেখক : শিক্ষক, প্রাবন্ধিক