পরিকল্পিত নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সিভাসু’তে অবস্থান কর্মসূচি

10

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের অনাকাক্সিক্ষত হতাহতের সুষ্ঠু বিচার দাবি এবং দেশব্যাপী পরিকল্পিত নৈরাজ্য, অগ্নিসন্ত্রাস ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় বিশ্বদ্যিালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বিশ^বিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. কামাল, ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফেরদৌসী আকতার, ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শেখ আহমাদ-আল-নাহিদ, বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ডা. মো. সফিকুল ইসলাম খান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. মাসুদুজ্জামান, প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড. শারমীন চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শিক্ষক ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল হোসেন ও কর্মচারী প্রতিনিধি গোপাল চন্দ্র রায়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মো. আশরাফ আলি বিশ্বাস।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে বলেন, শিক্ষার্থী হারানোর বেদনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। আমরা সকল হতাহতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।
উপাচার্য বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে বিটিভি, মেট্রোরেল, সেতু ভবন, এক্সপ্রেসওয়ে ও মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজাসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও সম্পদহানিতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা এধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণহানি ও সহিংসতার সুষ্ঠু তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও তিনি তদন্ত কাজে জাতিসংঘের সহযোগিতা চেয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আহতদের খোঁজখবর নিয়েছেন ও তাদের চিকিৎসার ভার গ্রহণ করেছেন। তিনি নিহতদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন এবং শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রীর এ সমস্ত উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।
উপাচার্য বলেন, সরকারের প্রজ্ঞাপনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দাবি প্রতিফলিত হয়েছে। তারপরও স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের উপর ভর করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করি তাদেরকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। বিজ্ঞপ্তি