পদত্যাগীদের কাঠগড়ায় দেখতে চান রিজভী

3

‘গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য’ নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করে পদত্যাগী কমিশনারদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় তোলার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে কৃষিবিদদের সংগঠন অ্যাগ্রিকালচারিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এ্যাব) উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন। খবর বিডিনিউজের
রিজভী বলেন, ‘আমাদের দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করায় যারা দায়ী, তার মধ্যে অন্যতম নির্বাচন কমিশন। সাংবিধানিক ব্যবস্থা লঙ্ঘন করার জন্য যারা দায়ী, তাদের আইনের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানাচ্ছি। তাদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত’।
প্রবল গণ আন্দোলনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক মাস পর এদিন কাজী হাবিবুল আউয়াল ও তার নেতৃত্বে কমিশনের চার জন সদস্যের সবাই পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমিসহ মাননীয় কমিশনারগণ দেশের পরিবর্তিত বিরাজিত অবস্থায় পদত্যাগ করতে মনস্থির করেছি। আমরা অদ্যই পদত্যাগপত্র মহামান্য রাষ্ট্রপতির সমীপে উপস্থাপনের নিমিত্তে কমিশনের সচিব মহোদয়ের কাছে দেব’।
সরকার পতনের পর তিনি পত্রিকায় কলাম লিখে আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘স্বৈরাচারী’ উল্লেখ করে বলেছিলেন, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন।
২০২২ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি দেশের ত্রয়োদশ সিইসি হিসেবে দায়িত্ব নেন সাবেক আমলা হাবিবুল আউয়াল। তার নেতৃত্বে এ কমিশনের পরিচালনায় চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হয়। এছাড়া এ আড়াই বছরে দেড় সহস্রাধিক বিভিন্ন নির্বাচন করে তারা।
হাবিবুল আউয়ালকে রিজভী বলেন, ‘দেশে দখল ও ডাকাতির নির্বাচনে আপনি এককভাবে ফলাফল ঘোষণা করেছেন। আপনি কেন এতদিন পদত্যাগ করেনি? আপনারা কাছে চাকরিটাই বড় ছিল। দেশ ও রাষ্ট্রের কথা কি মনে ছিল না? আমাদের দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করার জন্য যেগুলো প্রতিষ্ঠান দায়ী, তার মধ্যে অন্যতম নির্বাচন কমিশন’।
আওয়ামী লীগ-জামায়াত আঁতাতের অভিযোগ
জামায়াতে ইসলামীর ওপর নির্যাতনের অভিযোগ এনে দলটির আমির শফিকুর রহমান ‘নির্যাতনকারী’ দলকে ক্ষমা করে দেওয়ার যে ঘোষণা দিয়েছেন, সেটি নিয়েও প্রতিক্রিয়া জানান রিজভী। তবে তিনি কোনো দলের নাম উল্লেখ করেননি।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দলের অতীতে আঁতাত করা যাদের রেকর্ড আছে, সেই দলের নেতারা ক্ষমা করার কথা বলছেন। গণহত্যাকারীদের কীসের ক্ষমা? গণহত্যাকারীদের ও গণহত্যায় জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ জড়িতদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। ৫ আগস্টের একটি পটভ‚মির মধ্য দিয়ে ‘স্বৈরাচারী’ শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। তাই স্বৈরাচারের দোসরদের সঙ্গে আঁতাত করা মানে শহীদের রক্তের সাথে সম্পূর্ণভাবে বেঈমানি করা’।
এখনও সব অফিস আদালতে শেখ হাসিনার ‘প্রেতাত্মা’ রয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর লোকদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, যা জনগণের নজরে এসেছে’।