পটিয়ায় ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

6

পটিয়া প্রতিনিধি

পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কাল। এতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে নির্বাচনী মাঠে। প্রতিদ্বন্দ্বী দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ (আনারস প্রতীক) ও মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম (দোয়াত কলম প্রতীক) পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছেন। দুইজনেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকায় নির্বাচনী মাঠে এ উত্তাপ একটু বেশি। নির্বাচনে অধ্যাপক হারুনুর রশিদকে প্রকাশ্য সমর্থন দিয়েছেন পটিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী। অপরদিকে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকের অভিযোগ স্থানীয় সংসদ সদস্য ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী দিদারুল আলমের পক্ষে কাজ করছেন। এতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এমপির সাথে দূরত্ব বেড়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের।
গত রবিবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ এক সাংবাদিক সম্মেলনে দিদারুল আলম এবং পটিয়ার সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভোটের মাঠে পেশিশক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনার অভিযোগ করেন। এসময় অধ্যাপক হারুনুর রশিদের সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম সামশুজ্জমান চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে দিদারুল আলম বলেন, হারুন ভোটারদের আঙুল কেটে দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন ও বহিরাগত পেশিশক্তি প্রদর্শন করছেন। ওই ঘটনায় তিনি পটিয়া থানায় সাধারণ ডায়রি করেন।
রবিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক হারুনুর রশিদ বলেন, উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের পক্ষপাতিত্ব না করার জন্য নির্বাচনী আচরণবিধি ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ইউপি সদস্য ও পৌরসভার কাউন্সিলরদের ডেকে নিয়ে এক প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। তাঁর কথা মত কাজ না করলে নির্বাচনের পরে দলীয় কমিটি থেকে বাদ দেয়া ও পরবর্তী নির্বাচনে তাদের সমর্থন না করার হুমকি দিচ্ছেন। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এসময় তিনি এমপি মোতাহেরুল ইসলামকে নিরপেক্ষ আচরণের দাবি জানান।
সোমবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দিদারুল আলম বলেন, অধ্যাপক হারুন ছাত্রশিবির থেকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী, হাইব্রিড এবং ছাত্রলীগ নেতা হত্যাকারী। আসন্ন নির্বাচনে তিনি অন্যায় প্রভাব ও বহিরাগত পেশিশক্তি ব্যবহারের চেষ্টা করছেন। এসময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান এমপি আমাকে সমর্থন না দিলেও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে অনেকের মত আমাকে পছন্দ করেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সাবেক এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী চেয়ারম্যান পদে অধ্যাপক হারুন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ঝুলন দত্ত (চশমা) ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাজেদা বেগম শিরুকে (কলসি) সমর্থন দেয়ার কথা স্বীকার করেন।
উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিরোধ নিয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি বলেন, ‘এটা দলীয় বিরোধ নয়। এ বিরোধ প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের। কারো প্রতি আমার বিশেষ সমর্থন নেই।’