নয় বছর পর সম্মেলন হলেও কমিটি হয়নি

15

রাঙামাটি প্রতিনিধি

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাঙামাটি জেলা শাখার সম্মেলন গত ২৯ এপ্রিল শহরের উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউটে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমার পরিচালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন, বন পরিবেশ ও জলবায়ু সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মুছা মাতব্বর, মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী।
সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
বিশেষ বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি শাহেদ খান, কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ইবনুল হাসান, উপ সাংস্কৃতিক সম্পাদক শিবলী হাসান জয়, উপ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অর্কপল তালুকদার। বক্তব্য রাখেন, উপ পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান কিরন, উপ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আমির হোসেন খসরু প্রমুখ।
জানা গেছে, সারাদিন ব্যাপী সম্মেলন শেষে জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা না দিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য নেতারা ঢাকা চলে যান। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু প্রার্থী জানিয়েছেন কমিটি ঘোষণা করা হবে ঢাকা থেকে। কেন্দ্র থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামসহ কমিটি আসতে পারে হয়তো ১০-১৫ সময় লাগবে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৭৩টি সিভি জমা পড়েছে। তার মধ্যে সভাপতি পদে ২৮জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৪৫টি জমা পড়েছে। সভাপতি পদের ৫জনের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন নাজমুল হক বাবু, তারেক হোসন মাহিম, ইকবাল আহমেদ তালুকদার রেজওয়ান ও দীপংকর দে। সাধারণ সম্পাদক পদে আশরাফুল হক তুষার, মং চোয়াং রাখাইন অভি, সোহাগ চাকমা, সোহেল চাকমা। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যারা সিভি জমা দিয়েছেন তাদের মধ্যে প্রায় ১২-১৩জনের বয়স সীমা চলে গেছে। আবার বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যবসা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। যোগ্য অযোগ্যের প্রশ্নও তুলেছেন অনেক ছাত্ররা। প্রভাবশালী ছাত্রলীগ কয়েকজন নেতা নাকি টাকার বিনিময়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদটি নিতে চায় এমন গুঞ্জনও শুনা যাচ্ছে।