নেতাজীর ১২৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ – ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদের ‘আর্ট ক্যাম্প’

13

পূর্বদেশ অনলাইন
চিত্রশিল্প কখনো কখনো একটি উপন্যাসের চেয়েও শক্তিশালীভাবে অতীত বা বর্তমানকে উপস্থাপন করে। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু শুধু দেশপ্রেমিক বিপ্লবীই ছিলেন না, অকুতোভয় অসাম্প্রদায়িক অগ্রসৈনিকও ছিলেন, ভারতীয় স্বাধীনতা আনয়নে যাঁরা নিজেদের প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে তিনি অন্যতম। এদেশে এ সময়ের সাম্প্রদায়িকতা, কূপমন্ডুকতা, শোষণ, বঞ্চনা তথা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করে সুন্দর সময়ে আরোহণের জন্য নেতাজী সুভাষ বসু আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে আলোকবর্তিকা, অনুপ্রেরণা ও অদম্য সাহস। তুলির আঁচড়ে আদর্শ ফুটিয়ে তুলে জনমানসে দেশপ্রেমের কর্মকান্ড তুলে ধরে নেতাজীকে নতুন প্রজন্মের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদের আয়োজনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনিস্টিউটের শিল্পীবৃন্দের অংশগ্রহণে ‘আর্ট ক্যাম্প’ ও নেতাজীর ১২৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মুখ্য বক্তার বক্তব্যে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও কবি আবুল মোমেন একথাগুলো বলেন। সংগঠনের সভাপতি তারিকুল ইসলাম জুয়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আর্ট ক্যাম্প ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম ৮ আসনের সংসদ সদস্য জনাব এম,এ,ছালাম। এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন প্রফেসর রীতা দত্ত ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সভাপতি তাপস হোড়। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ্, অঞ্জন শেখর দাশ, প্রদীপ দাশ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিল্পী কে,এম,এ,কাইয়ুম, ইঞ্জিনিয়ার প্রদীপ দত্ত, সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক প্রণব দাশগুপ্ত, সাজেদুল হাসান, সাজীব বৈদ্য, শম্ভু সরকার, সরোজ চৌধুরী। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে নেতাজীর অসামান্য ভূমিকা নিয়ে শিল্পকর্মে অংশগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সর্ব অধ্যাপক ও শিল্পী কে,এম,এ,কাইয়ুম, নাসিমা মাসুদ রুবি, প্রণব মিত্র চৌধুরী, সুফিয়া বেগম, উত্তম কুমার বড়ুয়া, মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, সুকান্ত চৌধুরী, রাসেল কান্তি দাশ, সঞ্জয় সরকার ও মোহাম্মদ রফিক। বিকেল ৪টায় আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে সুগন্ধাস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সকাল ১০ টা থেকে শুরু হওয়া আর্টক্যাম্পের শিল্পকর্ম বিকালে দর্শকদের মাঝে প্রদর্শিত হয়।