নির্মাতাকে চড় মারার প্রশ্নে নায়িকা বললেন, ‘কিছু না কিছু’ ঘটেছে

2

সময়টা ভালো যাচ্ছেনা চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববির। কয়েকদিনেই দুটি ঝামেলায় জড়িয়েছেন তিনি। রেস্টুরেন্ট দখল, লুটপাট, প্রতারণা, ব্যবসায়ীক অংশীদারকে হত্যাচেষ্টা, মারপিটের অভিযোগ। আরেকটি ঈদে মুক্তি পাওয়া তার সিনেমা ‘ময়ূরাক্ষী’র নির্মাতার সঙ্গে পারিশ্রমিক নিয়ে মারধরের অভিযোগ। এই দুই বিষয় নিয়ে সোমবার রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন এই নায়িকা।
পরিচালকের সঙ্গে বিবাদ নিয়ে ববি বলেন, ‘ময়ূরাক্ষী’ সিনেমার শুটিং শুরুর সময় থেকেই সে আমাদের সঙ্গে টালবাহানা করে যাচ্ছে। এমনি তিনি শিল্পীদের পারিশ্রমিকও ঠিক মতো দেয়নি। পারিশ্রমিক চাইলে তিনি আমাদের বলেন প্রযোজক টাকা দিতে দেরি করছেন। কিন্তু অনেক আগেই প্রযোজক টাকা দিয়ে দিয়েছেন।’ সময়মত শুটিংয়ে না পৌঁছার বিষয়ে নির্মাতার অভিযোগ প্রসঙ্গে ববি বলেন, ‘সিনেমার জন্য আমার কাছে ডেট নিয়েছে ১৫ থেকে ১৭ দিন কিন্তু আমার শুটিং হয়েছে মাত্র ৬ দিন। এছাড়া সিনেমায় জন্য যতগুলো ফুটেজ নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে অনেক ফুটেজ তিনি সিনেমাতেই রাখেননি। এছাড়া আমার নাম বলে তিনি টাকা নিয়েছেন কিন্তু আমিই পুরো পারিশ্রমিক পাইনি।’
নিকেতনের একটি বাসায় পরিচালক রাশিদ পালাশকে আপনি চড় মেরেছেন এমন প্রশ্নের-এমন প্রশ্নের জবাবে ববি বলেন, ‘শুটিংয়ে পরিচালকের কথার সঙ্গে কাজের কোনো মিল পাননি। ‘ময়ূরাক্ষী’ সিনেমার প্রযোজক সব শিল্পীর পারিশ্রমিক পরিচালকের হাতে দিলেও তিনি শিল্পীদের পাওনা ঠিকমতো পরিশোধ করেননি। এসব নিয়ে কথা বলার জন্য আমরা প্রযোজকের বাসায় বসি। সেখানে ‘কিছু না কিছু’ ঘটেছে। এতো ভেঙ্গে বলা উচিৎ হবে না।’ এদিকে চড়কান্ডের খবর সামনে আসার পর নির্মাতা রাশিদ পলাশ গণমাধ্যমকে জানান, ‘ববির সঙ্গে আমার ফ্রেন্ডলি সম্পর্ক। গায়ে হাত তোলার বিষয়টি নতুন কিছু নয়। প্রায়ই আমাদের এমন ঘটনা ঘটে। আমাদের সম্পর্কের জায়গা থেকে এটা করতে পারে। বিষয়টি যেভাবে বলা হচ্ছে, আসলে তেমন না।’ ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি এফডিসিতে ‘ময়ূরাক্ষী’ ছবির শুটিং শুরু হয়। থেমে থেমে কয়েক দফায় শুটিং করে ছবিটির কাজ শেষ হয়। প্রেম ও প্রতারণার গল্প নিয়ে নির্মিত ছবিটি ঈদুল আজহায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। ছবিতে ববি ছাড়া অভিনয় করেছেন দীপ, সাদিয়া মাহী, সুমিত সেনগুপ্ত, ফারজানা ছবি, সমু চৌধুরী প্রমুখ।