নিরাপত্তাবলয় ও কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বন্ধে সভা

1

সাতকানিয়া প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া রেলওয়ে স্টেশনে নিরাপত্তাবলয় তৈরি, কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বন্ধ ও সামাজিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত শনিবার রাত ৮ টায় সাতকানিয়া রেলওয়ে স্টেশনে পৌরসভার আয়োজনে ও খলিফার পাড়াবাসীর সহযোগিতায় এই সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের মতো অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত হলে মামলায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। একটি মামলার কারণে চাকরি কিংবা বিদেশ যাত্রায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে প্রতিবদ্ধকতা সৃষ্টি হয়। তাই কিশোর গ্যাংয়ের মতো অপরাধ থেকে দূরে থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আত্মহত্যার মূল কারণ অসচেতনতা। বিভিন্ন অনৈতিক সম্পর্ক সৃষ্টির ফলে বর্তমানে আত্মহত্যার হার বাড়ছে। আমরা সাতকানিয়ায় কোনো অপমৃত্যু চাই না। একটি জীবনের মূল্য অনেক বেশি। সন্তানদের কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে বুঝাতে হবে। রেলওয়ে স্টেশন ঘিরে যেন মাদক কারবার গড়ে না উঠে সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে।
সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জোবায়েরের সভাপতিত্বে ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুল হালিমের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ফারিস্তা করিম, থানার অফিসার ইনচার্জ প্রিটন সরকার ও ঢেমশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা আসলাম সরোয়ার রিমন, পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আয়ুব চৌধুরী, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল আলম সোহেল, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আরিফুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সুমন, সাধারণ সম্পাদক নবাব মিয়া রকিব, পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফাহাদুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মোজাম্মেল হক সাবেক ছাত্রনেতা মো. এনামুল হক, মো. সাখাওত হোসেন, পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবদুর রাজ্জাকসহ আরো অনেকে।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রিটন সরকার বলেন, অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত কিশোর গ্যাংয়ের কোনো সদস্যকে আটক করা হলে কেউ বাদি হতে চায় না। বেশিরভাগ অপরাধের মূলে রয়েছে মাদক। আমরা মাদক নির্মূলে বদ্ধপরিকর। মাদক কারবারি ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যের বিষয়ে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। যারা ট্রেনের বগিতে পাথর নিক্ষেপ করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, যাদেরকে আজ কিশোর গ্যাং বলা হচ্ছে তাদেরকে আমি কিশোর গ্যাং বলবো না। মূলত যুবকরাই রেলওয়ে স্টেশনে ছোটখাটো অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত। শীগ্রই রেল স্টেশনের আশেপাশে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের সমন্বয়ে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, রেলওয়ে স্টেশনের পার্শ্ববর্তী এলাকা খলিফা পড়ার জনগণই রেলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।