নিপুণের পার্লারে কী হয় প্রশ্ন ডিপজলের

2

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে তুমুল দ্বন্দ্ব চলছে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার ও অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের। ফলাফল ঘোষণার দিন মিশা-ডিপজলকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিলেও পরে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ করে আদালতে রিট দায়ের করেন নিপুণ। এরপর থেকেই ডিপজলের সঙ্গে নিপুণের সম্পর্ক সাপে-নেউলের মতো। দুজন একে অপরকে ছেড়ে কথা বলছেন না। প্রথমে ডিপজলকে ‘অশিক্ষিত’ বলে মন্তব্য করেন নিপুণ। এর জবাবে নিপুণের পেছনে বড় শক্তি আছে বলে মন্তব্য করেন ডিপজল। এই কথার লড়াইয়ে এবার ঘি ঢাললেন ডিপজল।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিপুণের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিউটি পার্লারে কি চলে, প্রশ্ন ছুড়েছেন এই খল-অভিনেতা। ডিপজল বলেন, ‘নিপুণের মূল ব্যবসাটা কী? আমি যে সিনেমা করছি, এটাই কী আমার মূল্য ব্যবসা? না, এটা আমর মূল্য ব্যবসা না। শুনলাম, উনি (নিপুণ) পার্লার দিয়েছেন। কী পার্লার এটা? সেই পার্লারে গিয়ে আপনারা দেখেন, সেটা কেমন পার্লার। সেখানে কী হয়।’ নিপুণকে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে ভুল করেছেন বলে মন্তব্য করেন ডিপজল।
ঢাকাই সিনেমার মুভিলর্ড খ্যাত তারকা বলেন, ‘নিপুণকে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে এনে আমি ভুল করেছিলাম। আমার এখন মনে হয়, আমি ভুল করেছিলাম। তাকে আমি আর চিনি না।’ শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কেন দাঁড়িয়েছিলেন প্রশ্নে ডিপজল বলেন, ‘শিল্পী সমিতির চেয়ারে টাকা-পয়সা বলে কিছু নাই। এটা একটা ইজ্জত। আমার নির্বাচন করার ইচ্ছে ছিল না। তবুও নির্বাচন করলাম। কারণ গতবার অনেক অনিয়ম দেখেছি। যে কারণে এবার সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করলাম।’ উল্লেখ্য, এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের কাছে মাত্র ১৬ ভোটে হারেন নিপুণ। প্রথমে ফল মেনে নিলেও পরে নির্বাচনের অনিয়মের অভিযোগ আনেন এই চিত্রনায়িকা। আদালতে রিটের করেন তিনি। রিটের প্রেক্ষিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটিতে স্থগিতাদেশ দেন আদালত। পরে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। ফলে শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই বলে জানান আইনজীবীরা।