নিখোঁজের ৪ দিন পর শিশুর লাশ মিলল ডোবায়

2

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

সীতাকুন্ডে নিখোঁজের ৪ দিন পর ডোবা থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে শওকত চৌধুরীর বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ৩ বছর বয়সী শিশুটির পিতার নাম শাহাবউদ্দিন, পেশায় ভ্রাম্যমাণ মাছ বিক্রেতা। তার বাড়ি কুমিল্লায়। তারা দীর্ঘদিন ধরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
জানা যায়, শাহাবউদ্দিনের ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রী কয়েক মাস আগে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকে শাহাবউদ্দিন কোথাও গেলে তার সন্তানদের সাথে রাখেন। গত গত মঙ্গলবারও সকাল ১১টার দিকে তিনি তার দুই সন্তানকে নিয়ে কুমিরা বাজারে মাছ বিক্রি করতে যান। এসময় তার শিশু সন্তান সুলতান (৩) হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। এরপর থেকে শাহাবুদ্দিন তার ছেলেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও পাননি। এ অবস্থায় গতকাল শুক্রবার দুপুর ১টায় ছোট কুমিরা এলাকার শওকত চৌধুরীর বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ডোবায় একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানালে বিকাল চারটা দিকে সীতাকুন্ড মডেল থানার এসআই আমিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে ডোবা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে মাছ বিক্রেতা শাহাবুদ্দিন এটি নিজের হারিয়ে যাওয়া সন্তান সুলতান বলে শনাক্ত করেন।
শাহাবউদ্দিন বলেন, ‘কয়েক মাস আগে আমার স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর আমি আমার ৩ সন্তানকে আগলে রেখেছিলাম। যেখানে যাই তাদের সাথে নিয়ে যাই। ৪ দিন আগে কুমিরা বাজারে মাছ বিক্রি করার সময় আমার ছেলেকে কারা নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করি কিন্তু পাইনি। সর্বশেষ আজ (শুক্রবার) ডোবা থেকে পুলিশ আমার ছেলের লাশটি উদ্ধার করে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. খোরশেদ আলম জানান, ‘৪ দিন ধরে এই শিশুটি নিখোঁজ ছিল। শাহাবউদ্দিন একজন গরীব ভ্রাম্যমাণ মাছ বিক্রেতা। তার ছেলে কিভাবে মারা গেছে বুঝতে পারছি না। একটি পরিত্যক্ত ডোবায় শিশুটির লাশ পাওয়া যায়। শাহাবউদ্দিনের বাড়ি কুমিল্লার হোমনা থানায়। সে দীর্ঘদিন ধরে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।’
সীতাকুন্ড মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘কুমিরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে শওকত চৌধুরীর বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ থানায় নেওয়া হয়েছে। এতে শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি শিশুটিকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হতে পারে।’