নারী পাচার চক্রের আরও ২ সদস্য গ্রেপ্তার

3

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতে নারী পাচারকারী চক্রের আরও দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। র‌্যাব জানিয়েছে, তারা দীর্ঘদিন বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানার নারী শ্রমিকদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে বেশি বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করে আসছিল। গ্রেপ্তার দু’জন হলেন- ঝুমু (৩০) ও পারভিন আক্তার (২৫)। এর মধ্যে ঝুমুর বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার জালিয়া পাড়া গ্রামে আর পারভীন বায়েজিদ বোস্তামি থানার বালুচড়া এলাকায় থাকতেন। গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার হাটহাজারী থানার বালুচড়ার নতুনপাড়া সিএনজি স্টেশন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত রবিবার এই চক্রের আরেক সদস্য তারেককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শরীফ-উল আলম জানান, ভারতের পতিতালয়ে বিক্রি হওয়ার পর এক ভুক্তভোগী নারী পালিয়ে আসেন দেশে। তার লোমহর্ষক বর্ণনায় বেরিয়ে আসে নারী পাচার চক্রের ভয়াবহ সিন্ডিকেটের কথা। ওই নারীর করা মামলায় ঝুমুর স্বামী তারেককে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ঝুমু ও পারভীন একই মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। তারেক গ্রেপ্তার হওয়ার পর তারা আইনশৃঙ্খলার হাত থেকে বাঁচতে আত্মগোপনে চলে যান। তাদের ধরতে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবও অভিযানে নামে। তথ্য প্রযুক্তি ও বায়েজিদ বোস্তামি থানা পুলিশের সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র‌্যাব।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, ‘বায়েজিদ বোস্তামি থানা পুলিশের সহায়তায় র‌্যাব তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে ঝুমু ও পারভীনকে আমাদের কাছে সোপর্দ করে র‌্যাব। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে দেশে ফিরে আসা ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৩ জুন গভীর রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার চন্দ্রনগর আবাসিক এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে তারেককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। চাকরি দেওয়ার কথা বলে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দুই তরুণীকে। এক তরুণী এখনও নিখোঁজ আছেন।