নারিকেল শাঁসের পুষ্টিগুণ

5

নারকেল আমাদের সবার কাছে পরিচিত একটি ফল। নারকেলের পানি যেমন পানীয় হিসেবে খাওয়া স্বাস্থ্যকর, তেমনি নারকেলের শাঁসও অনেক উপকারী। নারকেল থেকে পানি বের করার পর ছুরি বা চামচ দিয়ে শাঁসটুকু নেওয়া যায়। বর্তমানে নারকেলের শাঁস থেকে মাখন তৈরি হয়, যা দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। ১. ফাইবারের উৎসের খনি বলা চলে নারকেলের শাঁসকে। ১০ গ্রাম শাঁসে গমের চেয়েও বেশি ফাইবার থাকে। ফাইবার আমাদের হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। ২. শাঁসে থাকা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমায়। যার কারণে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের নারকেলের পানি ও শাঁস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া পটাশিয়াম আমাদের দেহে পানি ও সোডিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই ব্যায়াম করার আগে ও পরে অনেকে এটি খেয়ে থাকে। আধা কাপ শাঁসে ২৮৫ গ্রাম পটাশিয়াম থাকে। ৩. নারকেলের শাঁসে থাকে অ্যামিনো এসিড, যা এক ধরনের প্রোটিন। এটি লিভার সমস্যা প্রতিরোধ করে। ত্বকে প্রদাহ কমায় এবং দাঁতের গঠন মজবুত করে। ৪. আয়রনের অন্যতম একটি উৎস নারকেলের শাঁস। প্রতিদিন আধা কাপ শাঁস খেলে আপনার দেহের আয়রনের ঘাটতি পূরণ হবে। ৫. শাঁসে থাকা ভিটামিন লোহিত রক্তকণিকা বাড়াতে সাহায্য করে। মানসিক বিকাশে উন্নতি ঘটায় ও বিপাকব্যবস্থা ভালো রাখে। ৬. শাঁসে থাকা সামান্য ফ্যাট বা চর্বি দেহে ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখে। ডায়াবেটিসজনিত কারণে শরীরের ক্ষতি রোধ করতে সাহায্য করে। ৭. অতিরিক্ত ওজন কমাতে সহায়তা করে নারকেলের শাঁস। খুব অল্প ক্যালোরিতেই বিপাক বৃদ্ধি করে অল্পক্ষণের মধ্যেই শরীরে শক্তি জোগায়। তাই নারকেলের শাঁস খেলে সহসা ক্ষুধা লাগে না। সে ক্ষেত্রে শরীরের ওজন কমাতে সহায়ক এটি। সূত্র : অর্গানিক ফ্যাক্টস