নতুন প্রতিষ্ঠানের সোয়া কোটি টাকা নিয়ে উধাও অংশীদার

3

চন্দনাইশ প্রতিনিধি

চন্দনাইশের ১৩ জন ব্যবসায়ী মিলে সদরে চন্দনাইশ ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রতিষ্ঠান করেন। আজ শুক্রবার এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের কথা ছিল। কিন্তু মূলধন হিসেবে রাখা ১ কোটি ১৩ লক্ষ ৮৯ হাজার ৭০০ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন ১৩ অংশীদারের একজন। তার নাম সৈয়দ মো. নুর উদ্দীন ফয়সাল (৩৫)। এই ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির আরেক অংশীদার মো. পারভেজ উদ্দীন বাদী হয়ে চন্দনাইশ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আজ শুক্রবার বিকালে চন্দনাইশ ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামীয় প্রতিষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের কথা ছিল।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চন্দনাইশ সদরের ছৈয়দ বাড়ির মৃত সৈয়দ আবদুল মান্নানের ছেলে সৈয়দ মো. নুর উদ্দীন ফয়সালের প্রবর্তক মোড় ও চকবাজার এলাকায় জেনেটিক ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। সে কারণে তাকে বিশ্বাস করে চন্দনাইশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জন্য মেশিনারী, সরঞ্জাম, এক্স-রে মেশিন, এক্স-রে রুমের রিড, এবিসি (প্যাথলজি) মেশিন, প্রেস মেশিন, আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিন, কম্পিউটার, লাইসেন্স প্রস্তুত বাবদ প্রথম দফায় সাড়ে ৪৫ লক্ষ টাকা, ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ৩৬ লক্ষ টাকা, সর্বশেষ গত ২৮ আগস্ট মেশিনের টাকা পরিশোধের জন্য ২৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, অপর এক বন্ধুকে জেনেটিক ল্যাবে শেয়ার দেয়ার কথা বলে ৪০ লক্ষ টাকাসহ ১ কোটি ১৩ লক্ষ ৮৯ হাজার ৭০০ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যান। গত বুধবার বিকাল থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে একইদিন রাতে প্রতিষ্ঠানটির আরেক অংশীদার পারভেজ উদ্দীন বাদী হয়ে চন্দনাইশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে থানার অফিসার (ওসি) ইনচার্জ ওবাইদুল ইসলাম বলেন, যেহেতু বিবাদী তাদের ব্যবসায়িক পার্টনার; তাই বিষয়টি নিজেরা নিষ্পত্তি করতে না পারলে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।