নগরে পাহাড়ধস রোধে কাজ করবে ৩ এনজিও

1

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) চারটি ওয়ার্ড যথাক্রমে ৭নং পশ্চিম ষোলশহর, ৮নং শুলকবহর, ৯নং উত্তর পাহাড়তলী এবং ১৪ নং লালখানবাজার ওয়ার্ডে পাহাড়ধসের কারণে সৃষ্ট ক্ষতির প্রভাব কমিয়ে আনতে জিএফএফও, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং ইপসা ‘Child centred anticipatorz action for better preparedness of communities and local institution in Northern area in Bangladesh “ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে কাজ করবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি, কমিউনিটি ভলান্টিয়ার, চাইল্ড এন্ড ইয়ূথ গ্রুপ, রিসোর্স পুলসহ বিভিন্ন গ্রুপকে আগাম সতর্কতা প্রদানের সিস্টেমসহ নানাবিধ প্রশিক্ষণ প্রদান, কমিউনিটি পর্যায়ে ভয়েস ম্যাসেজ প্রদান, সচেতনতাম‚লক সভা/ ক্যাম্পেইন, শর্তবিহীন ও শর্তযুক্ত নগদ অর্থ প্রদান, রেইন গেজসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিভাইস প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে টেকনিক্যাল সাপোর্ট প্রদান করা হবে। সোমবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সভাকক্ষে উল্লেখিত প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। প্রকল্প অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ইপসা’র পরিচালক (সমাজ উন্নয়ন) নাছিম বানু, প্রকল্পের প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সেভ দ্য চিলড্রেন ‘র অফিসার (এন্টিসিপেটোরি এ্যাকশন) আবু তৈয়ব, প্যানেল আলোচক ও অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চসিক সচিব আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহীন-উল-ইসলাম চৌধুরী, কাউন্সিলর ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, আব্দুস সালাম মাসুম, চসিক তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী ফারহাদুল আলম, দীনমনি শর্মা, উপ-সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ, সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদিকা সুলতানা, চুয়েট নগর পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষক শাহজালাল মিশুক, জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ( পিআইও) আব্দুল বাসেত, চসিক সমাজ কল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন জয়, আরবান কমিউনিটি ভলান্টিয়ার লিডার আবু সুফিয়ান প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন ইপসার প্রজেক্ট অফিসার মুহাম্মদ আতাউল হাকিম।
প্রধান অতিথি শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম দুর্যোগপ‚র্ণ এলাকা, বিশেষত পাহাড়ধসের জন্য ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। প্রকল্পে এন্টিসিপেটরি একশন ‘র ধারণাটি বেশ অভিনব। এছাড়াও টেকনিক্যাল ডিভাইস এর মাধ্যমে পূর্ব সংকেত পাওয়ার বিষয়টি নিঃসন্দেহে চমৎকার সংযোজন। এটি পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সচেতনতা আনয়নে ভ‚মিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করি। তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।