নগরে থেমে থেমে বৃষ্টি, নিম্নাঞ্চলে হাঁটু জল

13

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে নগরীতে গত রবিবার ভোর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। ওই দিন প্রায় ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। গতকাল সোমবারও সকাল থেকে একটানা বৃষ্টি হয়। বেলা ২টার দিকে বৃষ্টি থামলেও আকাশ দিনভর ছিলো মেঘে ঢাকা। বৃষ্টিতে নগরের বেশির ভাগ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ। এদিকে টানা ও ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকালে নগরীর চকবাজার, বহদ্দারহাট, ২ নম্বর গেট, আগ্রাবাদ ও রাহাত্তারপুলে হাঁটুপানি উঠে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী যাত্রীরা। বাসার নিচতলায় পানি ওঠায় সারা রাত ঘুমাতে পারেননি কেউ কেউ।
বাকলিয়ার সৈয়দশাহ রোড এলাকায় বেশির ভাগ ভবনে নিচতলা ডুবে গেছে। ওয়াপদা এলাকার সেমিপাকা একটি বাসায় নাজমুন নাহার নামে এক গৃহিণীকে পানি পরিষ্কার করতে দেখা গেছে। তিনি বলেন, রবিবার বিকেল থেকে বাসায় পানি ওঠতে থাকে। নিচে থাকা অনেক জিনিসপত্র খাটে তুলতে হয়েছে। এতে রাতে ঘুমাতে পারিনি। সকালে পানি নেমে গেলেও এখন আবার বৃষ্টি হওয়ায় ফের বাসায় পানি উঠবে। ছোট ছোট সন্তান নিয়ে বেশ কষ্টে আছি।
এক কিলোমিটার এলাকার বাসিন্দা জায়েদ বলেন, বছরে একবার নালা-নর্দমা পরিষ্কার করলে তো আর হবে না। বর্ষায় সিটি কর্পোরেশন নালা পরিষ্কারের উদ্যোগ নেয়। তারা কাজ শুরু করতে না করতেই বাসা-বাড়ি ও সড়কে পানি উঠে যায়। বহদ্দারহাট-বাদুরতলায় একটু বৃষ্টি হলেই পানি উঠে যায়। মেয়র যায় মেয়র আসে, কেউ কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয় না।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আলী আকবর খান বলেন, ‘বাংলাদেশের ওপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় তিন দিন ধরে টানা বৃষ্টি অব্যাহত আছে। ধীরে ধীরে বৃষ্টি কমতে থাকবে। তবে যেহেতু এখনো ৩ নম্বর সিগন্যাল আছে, তাই ভারী বৃষ্টি হলেই এ সময় কোথাও কোথাও পাহাড়ধসেরও ঝুঁকি রয়েছে।’