দ্বিতীয় ধাপে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে

5

পূর্বদেশ ডেস্ক

দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩০ কুাংশের বেশি ভোট পড়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচনটা ‘মোটামুটি ভালোই শান্তিপূর্ণভাবে’ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
ভোটগ্রহণ শেষে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান সিইসি। এ সময় অন্য চার নির্বাচন কমিশনার সিইসির সঙ্গে ছিলেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, দ্বিতীয় পর্বের ১৫৬টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচন হয়েছে। তার মধ্যে ইভিএমে হয়েছে ২৪টি। ৪টার সময় ভোট শেষ হয়েছে। নির্বাচনে সহিংসতার তেমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। দুয়েকটি ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। উল্লেখযোগ্য সহিংসতা হয়নি। নির্বাচনটা মোটামুটি ভালোই শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
তিনি বলেন, নির্বাচনে উপস্থিতির যে হার সেটি এ পর্যন্ত আমরা যেটা পেয়েছি সেটা ৩০ কুাংশের বেশি হতে পারে। তবে একেবারে নির্ভুল তথ্য হয়তো আগামীকাল (আজ) আপনারা পাবেন।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, কোথাও কোথাও মিডিয়াকর্মীও আহত হয়েছে শুনেছি। তারা সাহস করে ছবি তুলতে গেছেন, তারা হয়তো হেনস্তার শিকার হয়েছেন। আমরা এখনও সঠিক তথ্য পাইনি। যারা আহত হয়েছেন ৩৩ জনের মতো হতে পারে হাতাহাতিতে। গতকাল (সোমবার) রাতে একটা ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আঘাত হয়েছেন একজন।
নির্বাচনে সংঘটিত অনিয়মে ববস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, যেখানে অনিয়ম হয়েছে, ভোট কারচুপির চেষ্টা হয়েছে সেখানেই হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। মোট ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জালভোট দেওয়ার জন্য ১০ জনকে তাৎক্ষণিক কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। দুজনের মৃত্যু হয়েছে, তবে এটা ভোটকে কেন্দ্র করে নয়। অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
প্রথম ধাপের ভোটের পরে বলেছিলেন ধান কাটা ও ঝড়-বষ্টির জন ভোট কম পড়েছে। এবার কী বলছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে আমি ব্যক্তিগতভাবে ৩০ কুাংশ ভোটকে কখনোই খুব উৎসাহব্যঞ্জক মনে করি না। একটা প্রধানতম কারণ হতে পারে দেশের একটা বড় রাজনৈতিক দল প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে ভোট বর্জন করেছে এবং জনগণকে ভোট প্রদানেও নিরুৎসাহিত করেছে। যেকোনও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এ ধরনের চেষ্টা হতে পারে। পক্ষ-বিপক্ষ থাকতে পারে। আমাদের ভোট নিয়ে কোনও সংকট নেই। সংকটটি হচ্ছে রাজনীতিতে।
আমি মনে করি রাজনীতি যদি আরও সুস্থ ধারায় প্রবাহিত হয়, আগামীতে হয়তো ভোটার স্বল্পতার যে সমস্যাটুকু রয়েছে তা কাটিয়ে উঠবে। যেকোনও গণতান্ত্রকি দেশে যারা ভোটার তাদের সুশাসন বুঝতে হবে। আশা করি আগামীতে রাজনীতিতে যে সংকটটা রয়েছে সেটা অবশ্যই একটা সময় কাটিয়ে ওঠা যাবে এবং সুস্থ ধারায় দেশের সামগ্রিক রাজনীতি প্রবাহিত হবে। ভোটাররা উৎসাহিত হবে। ভোট আরও উৎসাহ ব্যঞ্জক পরিবেশে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসবে, বলেন সিইসি।