দেশ-জাতির মর্যাদা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে

4

নিজস্ব প্রতিবেদক

জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি। কর্মসূচির মধ্যে আছে, বুধবার আলোচনা সভা, বই মেলা এবং বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পণ। গতকাল শুক্রবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
প্রস্তুতি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৯ মে বুধবার বিকাল ৩ টায় কাজীর দেউরীস্থ ভিআইপি ব্যাঙ্কুইট কমিউনিটি হলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তাছাড়া দুপুর ১২ টায় একই স্থানে জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে বই মেলার উদ্বোধন করা হবে। এছাড়া ৩০ মে বৃহস্পতিবার ভোরে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন এবং সকাল ১১ টায় ষোলশহর ২ নং গেইটস্থ বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ৪১টি ওয়ার্ডে শাহাদাত বার্ষিকীর কর্মসূচি পালন করা হবে। প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহব্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ঝিনাইদহ ৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন। তিনি সাধারণ কোন নাগরিক নয়, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বিদেশে গিয়ে খুন হয়ে গেলেন। অথচ এখনো পর্যন্ত তার মরদেহ উদ্ধার করতে পারেনি সরকার। আজকে ডামি সরকারের তথাকথিত সংসদ সদস্যরাও নিরাপদ নয়। তাছাড়া সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ও সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করার আদালতের আদেশ জাতির জন্য লজ্জার। এর জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী এই সরকার। তারা প্রশাসনকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। এভাবে দেশ ও জাতির মর্যাদা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী হচ্ছে সবচেয়ে ভরসার একটা প্রতিষ্ঠান। সেই সেনাবাহিনীকে আওয়ামী লীগের কারণে হেয়প্রতিপন্ন করা হল। এটা কখনোই এ দেশের মানুষ মেনে নেবে না। দেশের সম্মানকে এভাবে কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের ব্যক্তিগত সততা ও স্বাধীনতাযুদ্ধে ঐতিহাসিক ভ‚মিকায় তার একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছিল জনগণের মধ্যে। ফলে ১৯৭৮ সালে তিনি যখন বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন, তখন তাতে সমাজের নানা শ্রেণী পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেন। তিনি প্রচলিত ধারার রাজনীতির বাইরে নতুন একটি রাজনৈতিক তত্ত¡ মানুষের সামনে হাজির করেন। জনগণ তাঁর সে রাজনীতিকে গ্রহণ করেছিল। তার ১৯ দফা কর্মসূচিকে এদেশের মানুষ তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির পথনির্দেশক বলেই গ্রহণ করেছিল।
প্রস্তুতি সভায় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ইতিহাসের অংশ। রাজনৈতিক বিদ্ধেষপ্রসূত কারণে কেউ তা ম্লান করতে চাইলেও পারবে না। স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাসের আকাশে জিয়াউর রহমান এক উজ্জল নক্ষত্র। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন আবার নিজে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। একজন সেক্টর কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে শেখ মুজিবর রহমান সরকারই জিয়াউর রহমানকে বীরউত্তম উপাধি দিয়েছিলেন। এখন রাজনৈতিক মতানৈক্যের কারণে দেশ ও জাতির জন্য তার অবদানকে অবমূল্যায়ন করা কাম্য হতে পারে না। স্বাধীনতাযুদ্ধে তার অবদানকে যারা প্রশ্নবিদ্ধ করতে চান, তারা মিথ্যাচারের বেসাতি করছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এডভোকেট আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, আবদুল্লাহ আল হারুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, মনির আহম্মেদ চৌধুরী, আবদুল কাদের জসিম, জাহাঙ্গীর আলম, গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সি. যুগ্ম আহবায়ক আসিফ চৌধুরী লিমন প্রমুখ।