‘দুর্নীতির টাকায়’ সাবেক এএসপি’র ৪ তলা ভবন

17

নিজস্ব প্রতিবেদক

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শিল্প পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবুল হাশেম এবং তার স্ত্রী তাহেরিনা বেগমের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের জেলা সমন্বিত-১ কার্যালয়ে মামলা দু’টি দায়ের করেন দুদক চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত-২ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুসাব্বির আহমেদ।
মামলার আসামিরা হলেন, রাউজান থানার গশ্চি গ্রামের গুরা মিয়া সেক্রেটারি বাড়ির মো.আবুল হাশেম (৬১) ও তার স্ত্রী তাহেরিনা বেগম (৫১)। এই দম্পতি নগরের খুলশী থানাধীন পলিটেকনিক্যাল কলেজ রোডের রূপসী হাউজিংয়ে বসবাস করেন।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-পরিচালক আতিকুল আলম বলেন, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবুল হাশেম এবং তার স্ত্রী তাহেরিনা বেগমের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দুটিতে মো. আবুল হাশেমকে আসামি করা হয়েছে।
দুদক কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘দুর্নীতির টাকায় ওই চারতলা ভবনটি নির্মাণ করেছেন এএসপি আবুল হাশেম।’
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালের শুরুতে দুদকের হটলাইনে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের এই দম্পতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর আবুল হাশেম ও তার স্ত্রী তাহেরিনাকে সম্পদের বিবরণ দাখিলের জন্য নোটিশ দেয় দুদক। একই বছরের ২৭ নভেম্বর সম্পদের বিবরণ দাখিল করেন তারা। ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর আবুল হাশেম চাকরি থেকে অবসর নেন। মো.আবুল হাশেম অসৎ উদ্দেশ্যে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে চার লাখ ৪৫ হাজার নয়শ’ ৬২ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করা এবং জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৮ লাখ ৬০ হাজার দুইশ’ ৯৪ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া অন্য মামলায় তাহেরিনা বেগম দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ছয় লাখ ৮৪ হাজকর তিনশ’ ৬৬ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন রেখে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪৩ লাখ ৩২ হাজার চারশ’ ৫৬ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রাখায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় এবং তার স্বামী আসামি মো. আবুল হাশেম পুলিশে চাকুরিরত অবস্থায় অসাধু উপায়ে অর্জিত অর্থ দ্বারা পারস্পরিক যোগসাজশে স্ত্রী তাহেরিনা বেগমের নামে সম্পদ অর্জন ও সম্পদ স্ত্রী কর্তৃক ভোগ দখলে রাখতে সহযোগিতা করার দায়ে দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় হাশেম ও তাহেরিনার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলার তদন্তকালে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তা আমলে নেওয়া হবে।