দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা

5

নিজস্ব প্রতিবেদক

পাহাড়ে অবৈধভাবে আবাসন প্রকল্প সৃষ্টি ও পাহাড়-টিলা কেটে প্লট বিক্রি ও সড়ক-উপসড়ক নির্মাণের দায়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা। আসামিদের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের বরখাস্তকৃত কাউন্সিলর মো. জহুরুল আলম জসিম ও ১০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সাবেক প্যনেল মেয়র ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুকে যথাক্রমে ৩ ও ৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে। গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম নগরের আকবরশাহ থানাধীন মিরপুর মালিক কল্যাণ কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি. নামে পাহাড়ি এলাকায় অবৈধভাবে এই আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয়। মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয় মিরপুর মালিক কল্যাণ কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে। আকবরশাহ থানায় পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় এই মামলা দায়ের করে।
আকবরশাহ থানাধীন জঙ্গল লফিতপুরের সলিমপুর ইউনিয়নের মিরপুর আবাসিক কল্যাণ কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি. এলাকায় অননুমোদিতভাবে পাহাড় কর্তনের দায়ে পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের রিসার্চ অফিসার আশরাফ উদ্দিন বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন। মামলায় মিরপুর মালিক কল্যাণ কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি. এর সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (৫৫), সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন (৫৫) সহ আরও অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়।
ড. নিছার উদ্দিন আমেদ মঞ্জু (৫৫) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১০নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহŸায়ক এবং নগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য। এছাড়াও মো. জহুরুল আলম জসিম (৫৫) ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের বরখাস্তকৃত কাউন্সিলর এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহব্বায়ক। জহুরুল আলম জসিমের বিরুদ্ধে আগেও পরিবেশ অধিদপ্তর পাহাড় কাটা, জলাশয় ভরাটের দায়ে একাধিক মামলা ও জরিমানা করে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আকবরশাহ, পাহাড়তলী, খুলশীসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় অন্তত ৪০টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার অন্তত ৩০টি গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়ের করা হয়। তার বিরুদ্ধে কিশোর গ্যাং, অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজি, অস্ত্র ব্যবসাসহ বিভিন্ন অভিযোগ ছিল। ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি বর্তমান অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা অ্যাড. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ সাংবাদিক ও পরিবেশ কর্মীদের উপর হামলার মামলায় চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি তাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বরখাস্ত করে। গত ১২ আগস্ট তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করে মন্ত্রণালয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, উল্লেখিত ১-৪ নং আসামিরা অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনের একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশ অমান্য করে পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ ব্যতিরেকে মিরপুর মালিক কল্যাণ কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি. নামে আবাসন প্রকল্প স্থাপন করে অবৈধভাবে পাহাড় কর্তন করে প্রায় ৪-৫ একর জমির মধ্যে ২৫০টি প্লট করে বিক্রি করে আসছে।