ত্যাগীদের মূল্যায়নের আহবানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে চিঠি

2

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কমিটি নিয়ে ত্যাগী নেতাদের যথাযথ মূল্যায়নের আহবান জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে চিঠি দিয়েছে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, চট্টগ্রাম শাখা। গতকাল ২৬ জুন সংগঠনের আহব্বায়ক, সিনিয়র সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ আহবান জানানো হয়।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত ওই পত্রে বলা হয়, ‘আন্তরিক শুভেচ্ছা নেবেন। সম্প্রতি চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে আগামীর নেতৃত্ব যাতে আন্দোলনকে চাঙা করতে পারে সে জন্যে যারা রাজপথে গত ১৭ বছর থেকে জেল, জুলুম, নির্যাতন ও কারাভোগ করেছেন তাদের প্রাধান্য দেওয়ার জন্য আপনার কাছে বিনীত আবেদন রইল।’
এতে আরও বলা হয়, ‘এ ব্যাপারে আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন ১/১১ সময় থেকে যেভাবে রাজপথে জল, জুলুম উপেক্ষা করে বিএনপির আন্দোলনে সবাইকে সম্পৃক্ত করেছেন, নেতাকর্মীদের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন তা সর্বজন স্বীকৃত। ইতিমধ্যে তিনি চট্টগ্রামের জননন্দিত নেতা হিসেবে পরিচিত হন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান ও আওয়ামী লীগের প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরে তিনি এখন সব চাইতে জনগণের সমাদৃত রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচিত। চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনগণের কাছে তিনি একজন অবিসংবাদিত নেতা। চট্টগ্রামের সাংবাদিক এবং সুধী সমাজের কাছে তিনি অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। করোনার সময় তার অবদান এবং মানুষের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানো তার পরিচিতি অন্য মাত্রা যোগ হয়েছে। তিনি চট্টগ্রাম নয়, চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর দক্ষিণ জেলার অসহায় নেতাকর্মীরা ডা. শাহাদাতকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে মনে করেন। এই অবস্থায় তাকে আবারো মহানগর সভাপতি অথবা কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব চট্টগ্রাম বিভাগ করার জন্য বাংলাদেশ পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রাম শাখার নেতৃবৃন্দ আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
চট্টগ্রাম মহানগরের বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করও গত ১৭ বছর যাবৎ জেল-জুলুম উপেক্ষা করে আন্দোলন সংগ্রামে যুক্ত ছিলেন। তিনি একজন দক্ষ সংগঠক। তাকে সরিয়ে দেওয়া হলে দলীয় স্বার্থে উপযুক্ত জায়গায় পদায়ন করলে উপকৃত হবে।’
এ চিঠি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এর কাছে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।