তীব্র হচ্ছে ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধের আশঙ্কা

1

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে বৃহত্তর যুদ্ধের শঙ্কা জোরালো হচ্ছে। স¤প্রতি পাল্টাপাল্টি হামলা জোরালো হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য অনুসারে, গাজায় কোনও যুদ্ধবিরতি চুক্তি না হলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে বড় আকারের সংঘাত শুরু হতে পারে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো এ খবর জানিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা উভয় পক্ষকে উত্তেজনা হ্রাসে সহায়তা করার চেষ্টা করছেন। তাদের মতে, গাজায় হামাস-ইসরায়েল একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলে উত্তেজনা কমানো অনেক সহজ হবে। বর্তমানে চুক্তিটি নিয়ে আলোচনা চলছে।
তবে শিগগিরই হামাস ও ইসরায়েল কোনও যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে বলে আশাবাদী নন মার্কিন কর্মকর্তারা। গোয়েন্দা তথ্য সম্পর্কে অবগত দুই সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ইতোমধ্যে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) এবং হিজবুল্লাহ নিজেদের যুদ্ধের পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে এবং অতিরিক্ত অস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টায় রয়েছে। প্রকাশ্যে উভয় পক্ষই সর্বাত্মক যুদ্ধ চায় না বলে দাবি করছে। তবে বাইডেন প্রশাসনের সিনিয়র কর্মকর্তারা ক্রমবর্ধমানভাবে মনে করতে শুরু করেছেন, উত্তেজনা কমানো ও সংঘাত এড়ানোর চেষ্টার পরও তীব্র যুদ্ধ শুরু হতে পারে।
অপর এক সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, যেকোনও সময়ের চেয়ে বর্তমানে সংঘর্ষের ঝুঁকি অনেক বেশি। ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে রক্ষায় ভূমিকা নিতে বাধ্য করবে। এর ফলে বাইডেন প্রশাসন এমন একটি অঞ্চলে যুদ্ধে জড়াতে বাধ্য হবে, যেখান থেকে কয়েক বছর ধরে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে তারা। এ যুদ্ধ আরেকটি মানবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি করে। গাজায় যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে ত্রাণ সংস্থাগুলো হিমশিম খাচ্ছে।
হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা নিয়ে ইউরোপের চেয়ে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য কিছু মাত্রায় রক্ষণশীল। ইউরোপীয় দেশগুলোর শঙ্কা, কয়েক দিনের মধ্যে এই যুদ্ধ শুরু হতে পারে। অনেক দেশ তাদের নাগরিকদের লেবানন ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছে। কানাডাও দেশটি থেকে হাজার হাজার মানুষ সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লেবাননে ভ্রমণ না করার জন্য একটি পরামর্শ জারি করেছে। দুই সিনিয়র কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেছেন, যুদ্ধ কখন শুরু হতে পারে তা স্পষ্ট নয়।
তবে তারা উল্লেখ করেছেন, ইসরায়েল দ্রুত তার মজুত ও সেনাবাহিনীর সক্ষমতা পুনর্গঠন করার চেষ্টা করছে। হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন বলেছেন, বাইডেন প্রশাসন একটি ‘ক‚টনৈতিক সমাধানের’ জন্য কাজ করছে। যে সমাধানের ফলে ইসরায়েলি ও লেবানিজ নাগরিকরা তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে সক্ষম হবেন।