তীব্র তাপদাহে প্রভাব পড়েছে চন্দনাইশের সবজিক্ষেতে

0

চন্দনাইশ প্রতিনিধি

তীব্র তাপের ফলে চন্দনাইশে ফসলের ক্ষেতে প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিশেষ করে ধোপাছড়ি, হাশিমপুর, চর-বরমা, দোহাজারী শঙ্খ নদীর অববাহিকায় কৃষকের চাষকৃত সবজি ক্ষেতগুলো সূর্যের খরতাপে প্রায় মরে যাচ্ছে। পাশাপাশি জমির বোরো ধান ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। গতকাল ২৯ এপ্রিল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বরুমতি খালের চর এবং শঙ্খ নদীর চরে ফলানো সবজি ক্ষেতে মধ্যে মরিচ, শসা, মিষ্টি কুমড়া, ধনিয়া, করলা খরতাপে প্রায় মরে যাচ্ছে। এ সময়ে কৃষকরা পরিমাণ মত সেচ দিতে না পারায় ব্যাহত হচ্ছে সবজির উৎপাদন।
চন্দনাইশের কৃষক শাহজাহান জানিয়েছেন, তীব্র গরমের মধ্যে সবজি ক্ষেতে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেচের অভাবে এবং তীব্রতাপে সবজি ক্ষেত শুকিয়ে চৌচির হয়ে যাচ্ছে।
কৃষক মুজিব জানিয়েছেন, তার ১০ শতক পরিমাণ মরিচ ক্ষেত সম্পূর্ণ খরতাপে মরে গেছে। অন্যান্য সবজি ক্ষেতেরও একই অবস্থা। হাশিমপুরের কৃষক নুরুল আলম জানিয়েছেন, তার মিষ্টি কুমড়া ও মরিচ ক্ষেতেও লেগেছে তীব্রতাপের প্রভাব, মরে যাচ্ছে সবজির গাছ। অতিরিক্ত তাপে আম, কাঁঠাল, লিচু, জামসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফলনেও প্রভাব পড়েছে। তাপের কারণে গাছ থেকে ঝরে পড়ছে এসব ফল। এভাবে চলতে থাকলে এ বছর বিভিন্ন ফলনের বিপর্যয়ের আশংকা করছে সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্যানতত্ত¡ গবেষণা কেন্দ্রের ফল বিভাগ থেকেও কৃষকদের উদ্দেশে দেয়া হয়েছে চলমান তীব্র তাপদাহে ফল-ফসলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ।
এক্ষেত্রে ফল জাতীয় সবজি যেমন বেগুন, টমেটো, মরিচ, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, করলা, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, পটল, শসা, এবং ঢেঁড়শ ইত্যাদিতে ২/৪ দিন অন্তর অন্তর সেচ প্রয়োগ করা, পাতা জাতীয় সবজি যেমন ডাটা শাক, লাল শাক, পুঁইশাক, কলমী শাক, লাউশাক ইত্যাদিতে ২/৩ দিন অন্তর অন্তর সেচের ব্যবস্থা করা।
এছাড়াও মাটির গুণাগুণের উপর ভিত্তি করে ফলদ বৃক্ষের একইভাবে সেচের ব্যবস্থা করা। এছাড়া ফলদ বৃক্ষের চারপাশে আইল বেঁধে পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। চন্দনাইশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজাদ হোসেন জানিয়েছেন, চলমান খরতাপে কৃষকদের ক্ষেতে কাজ করতে একটু অসুবিধা হচ্ছে। তারপরও ক্ষেতে কৃষকদের সেচের পানি ধরে রাখার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। গরমে কৃষকরা কী করবে তার করণীয় সম্পর্কেও বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।