তিন মাস পর এপ্রিলে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে ছেদ

4

পূর্বদেশ ডেস্ক

টানা তিন মাস দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জনের পর এপ্রিলে এসে পণ্য রপ্তানি আবার ধাক্কা খেয়েছে; আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে কমে গেছে। সদ্য সমাপ্ত এপ্রিলে বিদেশে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় এসেছে ৩৯১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ কম। ২০২৩ সালের এপ্রিলে রপ্তানি হয়েছিল ৩৯৫ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্য।
শুধু প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক হয়েছে তা নয়, এপ্রিলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও রপ্তানি পিছিয়ে আছে ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। সদ্য সমাপ্ত মাসে ৪৭০ কোটি ৭০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল।
গতকাল বৃহস্পতিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এপ্রিল পর্যন্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১০ মাসের রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রপ্তানিতে ওঠানামা থাকলেও জানুয়ারি থেকে সবশেষ তিন মাসে রপ্তানিতে বেশ ভালো প্রবৃদ্ধি ছিল। জানুয়ারিতে রেকর্ড ৫৭২ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ, ফেব্রæয়ারিতে ৫১৮ দশমিক ৭৫ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করে ১২ দশমিক ০৪ শতাংশ এবং মার্চে ৫১০ কোটি ২৫ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করার পর ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।
সবশেষ মাসে রপ্তানি কমে গেলেও আগের মাসগুলোতে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ায় অর্থবছরের প্রথম ১০ মাস শেষে এখনও ইতিবাচক ধারায় রয়েছে প্রবৃদ্ধি; বেড়েছে ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
এ সময়ে মোট রপ্তানি হয়েছে ৪৭৪৭ কোটি ১৭ লাখ বা ৪৭ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। রপ্তানির এ পরিমাণ ৫০ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ পিছিয়ে।
চলতি অর্থবছরে মোট ৬২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। এ লক্ষ অর্জন করতে হলে বাকি দুই মাসে ১৪ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করতে হবে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৫৫ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার।
জুলাই-এপ্রিল সময়ে খাতভিত্তিক আয়ের তথ্যে দেখা যায়, এই ১০ মাসে প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক থেকে ৪০ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলারের আয় এসেছে, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। খবর বিডিনিউজের
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে আয় হয়েছে ৮৭ কোটি ২৪ লাখ ডলার। তবে প্রবৃদ্ধি কমেছে ১৩ দশমিক ৩২ শতাংশ। আগের অর্থবছরের এই সময়ে ১০০ কোটি ৬৪ লাখ বা এক বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। এছাড়া পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে ৭১ কোটি ৬৪ লাখ ডলার আয় এলেও আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে কমেছে ৭ শতাংশ।
আরেক গুরুত্বপূর্ণ খাত ৭৭ কোটি ৪৪ লাখ ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানির পর এ খাতে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।