তারা এ যুগের রাজাকার

14

পূর্বদেশ ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের প্রতিবাদে ‘তুমি কে, আমি কে রাজাকার-রাজাকার’ এমন স্লোগান যারা দিয়েছে তাদের ‘এ যুগের রাজাকার’ বলে আখ্যা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। সেই সঙ্গে ‘এ যুগের রাজাকারদের’ পরিণতি ‘ওই যুগের রাজাকারদের মতোই হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
গতকাল সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে শিক্ষামন্ত্রী লিখেছেন, শান্তিপূর্ণভাবে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে অনেকেই পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা করেছে, আন্দোলন করেছে। এটি অবশ্যই নাগরিক অধিকার। এ ব্যপারে কারো কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু যারা প্রকাশ্যে নিজের আত্মপরিচয়, জন্ম পরিচয়, ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে, ‘তুমি কে, আমি কে রাজাকার-রাজাকার’ ¯েøাগান দিয়েছে, এরা সবাই এই যুগের রাজাকার।
মন্ত্রী লিখেছেন, এরা রাষ্ট্র মানে না, আদালত মানে না, ইতিহাস মানে না এবং সর্বোপরি এই দেশকেই মানে না!আর ফেসবুকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই যুগের রাজাকারেরা একটু সক্রিয় বেশি। কারণ কিছু একটা মন্তব্য লিখে, একটা স্টেটাস দেওয়ার ভার্চুয়াল রাজাকারি করা অনেক সহজ।
রাজাকার আগেও ছিলো এবং এর ধারাবাহিকতায় এখনো আছে- এমনটা উল্লেখ করে নওফেল লিখেছেন, ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে প্রায় ২০% শতাংশ ভোট পড়েছিলো নেজামি ইসলামি, মুসলিম লীগ ইত্যাদি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী পক্ষ তথা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এই ২০% এর অর্ধেক ১০% ধরে আজকের ১৬ কোটি মানুষের সাথে মেলালে আসবে ১.৬ কোটি। এর মধ্যে ০.৬ কোটিও যদি সারাদিন নিজের রাজাকারির অরাজকতা প্রকাশ করে, বাকি জনগোষ্ঠীর তুলনায় এরা নগন্যই থাকবে!
তিনি আরও লিখেছেন, এদের আওয়াজে বিভ্রান্ত হলে চলবে না! এ যুগের রাজাকারদের পরিণতি ঐ যুগের রাজাকারদের মতই হবে! ঘৃণা, ধিক্কার, আর ক্রোধ এদের প্রতি! রাজাকারের দল তোরা, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ছাড়!