‘তাইওয়ানে অভিযান চালানোর সক্ষমতা চীনের নেই’

3

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

তাইওয়ানে ‘সর্বাত্মক’ হামলা চালাতে পারবে না চীন। কেননা, দেশটির কাছে হামলার করা মতো সরঞ্জাম নেই। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) এমন মন্তব্য করেছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে চীন দেশে নতুন উন্নত অস্ত্র আনছে। এছাড়া, তাইওয়ানকে হুমকি দেওয়ার জন্য তাদের কাছে অন্যান্য বিকল্প রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো বিদেশি পণ্যবাহী জাহাজগুলোকে পরিদর্শন। এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে। স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ানকে নিজস্ব ভূখন্ডের অংশ হিসেবে মনে করে চীন। গত পাঁচ বছরে তাদের এ দাবি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাইওয়ানের ওপর সামরিক ও রাজনৈতিক চাপ বাড়িয়েছে দেশটি। তবে চীনের এমন দাবি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে আসছে তাইপে কর্তৃপক্ষ।
তাইওয়ানকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে চীন কখনওই শক্তি প্রয়োগ করা ছাড়েনি। ১৯৪৯ সালে মাও সেতুংয়ের কমিউনিস্টদের সঙ্গে গৃহযুদ্ধে হেরে তাইওয়ানে পালিয়ে যায় রিপাবলিক অব চীনের পরাজিত সরকার। তখন কোনও প্রকার শান্তি চুক্তি বা যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরিত হয়নি। শুক্রবার আইন প্রণেতাদের কাছে পাঠানো চীনের একটি বার্ষিক হুমকি মূল্যায়নে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, বেইজিং যৌথ কমান্ড অপারেশনের মতো দক্ষতা অর্জন করে চলেছে। প্রতিবেদনটির একটি অনুলিপি পর্যালোচনা করেছে রয়টার্স। মন্ত্রণালয়টি আরও জানায়, ‘তবে, তাইওয়ান প্রণালীর প্রাকৃতিক ভৌগলিক পরিবেশ এবং চীনের অপর্যাপ্ত অবতরণ সরঞ্জাম ও লজিস্টিক ক্ষমতার কারণে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে ক‚টকৌশলের ব্যবহার এখনও সীমিত।’
মূল্যায়নটিতে আরও বলা হয়, চীন ‘এখনও তাইওয়ানে ব্যাপক আক্রমণের জন্য আনুষ্ঠানিক যুদ্ধের ক্ষমতা পুরোপুরি অর্জন করেনি।’
তবে চীন এইচ-২০ বোমারু বিমান ও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো বেশ কয়েকটি নতুন অস্ত্রের বিকাশ ত্বরান্বিত করছে এবং নতুন কৌশলের পরীক্ষা সঙ্গে পারমাণবিক ওয়ারহেডের সংখ্যা বাড়াচ্ছে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়টি। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, মে মাসে লাই চিং-তে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তাইওয়ানের চারপাশে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা শুরু করেছিল চীন। আর একইসঙ্গে তখন প্রথমবারের মতো পূর্ব উপক‚লে চীনা উপক‚লরক্ষী জাহাজগুলোকে বাধা প্রদান করার ও পরিদর্শন মহড়ার জন্য পাঠানো হয়েছিল। এই মহড়ার মাধ্যমে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে এবং তাইওয়ানকে অবরোধ করতে চেয়েছিল চীন।
একইসঙ্গে প্রকাশ্য সংঘাতের অংশ হিসেবে বিদেশি পণ্যবাহী জাহাজের বোর্ডিং নেওয়ার অনুশীলনও করেছিল দেশটি, যা তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনের একটি বিকল্প ব্যবস্থা হতে পারে। তাইওয়ানের চারপাশের পানি, তাইওয়ান প্রণালীসহ, ব্যস্ত আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক রুট রয়েছে।