ডলি আনোয়ার

3

ডলি আনোয়ার, একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি ১৯৭৯ সালে সূর্য দীঘল বাড়ী চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
ডলি ১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করে। তার বাবার নাম মোহাম্মদ ইব্রাহিম এবং মায়ের নাম নীলিমা ইব্রাহিম। তার মাতা নীলিমা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। ডলি ১৯৭০ এর দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে এম.এ সম্পন্ন করেন।
ডলি অভিনয় শুরু করেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রথম নাটক একতলা দোতলা দিয়ে। মঞ্চেও সফল অভিনেত্রী ছিলেন। সূর্য দীঘল বাড়ি চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু। তিনি একটি ম্যাগাজিনের সম্পাদকও ছিলেন।
চিত্রগ্রাহক আনোয়ার হোসেন এর সাথে ১৯৭৯ সালে সূর্য দীঘল বাড়ি চলচ্চিত্র তৈরির সময় ডলি ইব্রাহিমের পরিচয় হয় এবং ঐ বছরই তারা বিয়ে করেন।

সূর্য দীঘল বাড়ী : ডলি আনোয়ার ১৯৭৯ সালে মসিহউদ্দিন শাকের ও শেখ নিয়ামত আলী পরিচালিত সূর্য দীঘল বাড়ী চলচ্চিত্রে জয়গুন চরিত্রে অভিনয় করেন। এতে আরও অভিনয় করে রওশন জামিল, এটিএম শামসুজ্জামান, ফখরুল হাসান বৈরাগী, ইলোরা গহর প্রমুখ। এ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি সেরা অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
দহন : ১৯৮৬ সালে অভিনয় করেন শেখ নিয়ামত আলী রচিত ও পরিচালিত রাষ্ট্রীয় অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্র দহন-এ। মধ্যবিত্তদের টানাপোড়নের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এ চলচ্চিত্রে। ছায়াছবিটির অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেন বুলবুল আহমেদ, ববিতা, হুমায়ুন ফরীদি, আসাদুজ্জামান নূরসহ আরও অনেকে।

হুলিয়া : ডলি আনোয়ার অভিনীত হুলিয়া চলচ্চিত্রটি ১৯৮৯ সালে মুক্তি পায়।
ডলি আনোয়ার ১৯৯১ সালের ৩ জুলাই বিষপান করে আত্মহত্যা করেন। তাকে কবর দেওয়া হয় ঢাকার মিরপুরস্থ শহীদ বুদ্ধজীবী কবরস্থান-এ। আত্মহত্যার পর নানা রকম গুজব শোনা যায়। ডলি আনোয়ারের স্বামী আনোয়ার হোসেন তাকে তালাকনামা প্রেরণ করেন যা সহ্য করতে না পেরে ডলি আনোয়ার বিষপান করেন বলে গুজব ছড়ায়। এই গুজবের কোন সত্যতা প্রমাণিত না হওয়ায় এই মৃত্যু রহস্যই থেকে যায়। সূত্র : উইকিপিডিয়া