ট্রলার ডুবে আনোয়ারার দুই জেলের মৃত্যু

2

আনোয়ারা প্রতিনিধি

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে কক্সবাজার উপকূলে ঝড়ের কবলে পড়ে আনোয়ারা উপজেলার ১১ জন মাঝিমাল্লাসহ ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এতে ২ জন নিহত ও ৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
গত শুক্রবার বেলা ১১ টার টার দিকে ঝড় ও প্রবল স্রোতের কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উখিয়া থানার বেইলে­খালির কাছাকাছি গিয়ে ট্রলারডুবির এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নতুন বাড়ির জমির উদ্দিনের ছেলে মো. আজমগীর (১৮), একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পশ্চিম রায়পুর কানু মাঝির বাড়ির মৃত দৌলত মিয়ার ছেলে মো. আবদুল করিম (৪০)।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তর করা হলে নিহতদেরকে শনিবার রাতে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় বলে জানা যায়।
জীবিত উদ্ধার করা মাঝি-মাল্লারা হলেন রায়পুর ইউনিয়নের উত্তর সরেংগার ৫নং ওয়ার্ডের ছালাম মাঝির বাড়ির ট্রলারের মালিক মো. আবুল বশর, দক্ষিণ সরেংগা ৫নং ওয়ার্ডের কালা চানের বাড়ির মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে অংকুর নুর (৫০), দক্ষিণ সরেংগা জুয়ারো বাড়ির কালা মিয়ার ছেলে মো. ওয়াসিম মাঝি (২৫), তার ভাই মো. জাবেদ (১৮), উত্তর সরেংগা এলাকার রাজারো বাড়ির মো. ঈসমাইলের ছেলে মো. মনছুর (২৫) জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের খুরুস্কুল গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডের সিকদার বাড়ির আবদুল আজিজের ছেলে মো. রাসেল (২৬) ও একই এলাকার ৯নং ওয়ার্ডের শীল পাড়ার দুলাল শীলের ছেলে বিবেক শীল (৩০), বটতলী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব বরৈয়া গ্রামের বর আলি ফকিরের বাড়ির মো. হাসানের ছেলে ঈসমাইল (৩৫), বাঁশখালীর খানখানাবাদ ইউনিয়নের রায়ছাটা এলাকার মো. দেলোয়ার।
ট্রলারের মাঝি ওয়াসিম জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে রায়পুর সরেংগা এলাকা থেকে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে আমরা ১১ জন মাঝিমাল্লা ট্রলার নিয়ে রওনা দিলে সন্ধ্যা নাগাদ হঠাৎ ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়। এসময় ট্রলারে পানি ঢুকে যায়। সারারাত পানি সেচতে থাকি। পরে শুক্রবার সকালে ট্রলারটি ভাসতে ভাসতে উখিয়ার উপকূলে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আগেই ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় সবাই পানিতে ভেসে যায়। পরে আশেপাশের অন্যান্য ট্রলারের লোকজন আমাদের উদ্ধার করলেও দু’জন পানির স্রোতে ভেসে যায়। একদিন পরে শনিবার বেলা ১১ টার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শামীম জানান, শুক্রবার সকালে থানায় ট্রলারের মালিকের পরিবারের সদস্যরা নিখোঁজের জিডি করলে আমরা খবর পেয়ে ট্রলারে থাকা ১১ জন থেকে ৯ জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। পরে স্থানীয় লোকজন, পুলিশ সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করে একদিন পরে ২ জনের লাশ উদ্ধার করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের নিজ এলাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।