টেকনাফে নারী-শিশুসহ ১৮ লাশ উদ্ধার

7

পূর্বদেশ ডেস্ক

বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে রোহিঙ্গা বোঝাই ফিশিং বোট ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নারী-শিশুসহ ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে রোহিঙ্গা স্বজনরা টেকনাফের সৈকতে ভিড় জমিয়েছে। নিহত সকলে রোহিঙ্গা মুসলিম। সেদেশে অব্যাহত যুদ্ধের ফলে প্রতিনিয়ত এদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন রোহিঙ্গারা।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া ও রাজারছড়া ঘাটে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় বোট ডুবির এ ঘটনা ঘটে। বিজিবি-কোস্ট গার্ড সীমান্তে কড়া সতর্ক থাকলেও তাদের ফাঁকি দিয়ে রাতের আঁধারে রোহিঙ্গাদের এ অনুপ্রবেশ ঘটে। এর মধ্যে বিজিবির হাতে অনেকে আটক হলেও বেশির ভাগ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আত্মীয় স্বজনদের কাছে আশ্রয়ে চলে যায়। খবর বাংলানিউজের
বোট ডুবির ঘটনায় একমাত্র জীবিত তাবদিলা নামে এক নারী জানান, বোটে ৩১ জন রোহিঙ্গা ছিল। এর মধ্যে তার স্বামী, তার দুই মেয়ে, তিন নাতনি ও মেয়ের জামাই ছিল। দুই মেয়ে ও দুই নাতনির লাশ পেয়েছে। বাকিদের খোঁজ মেলেনি। তিনি আরো জানান, সোমবার ভোর চারটার দিকে মিয়ানমারের মংডুস্থ ফয়েজি পাড়া বরাবর ঘাট হতে বোটে উঠেন তারা। নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবির ছড়া ও রাজারছড়া সৈকত বরাবর পৌঁছলে বোটটি ডুবে যায়। এতে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ৩ শিশুসহ ৭ জন নারী ও ৩ জন পুরুষ রয়েছে।
শালবাগান ২৬নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ ব্লকের হাসিনা বেগম জানান, বোটে উঠার আগে মুঠোফোনে যোগাযোগ ছিল নিহত স্বজনদের সাথে। এরপর থেকে যোগাযোগ ছিল না। টেকনাফের সৈকতে রোহিঙ্গা বোঝাই বোটডুবির খবর পেয়ে খুঁজতে আসেন তিনি। সেখানে তার ভাবীর মৃতদেহ পেলেও বাকি দুই ভাইপো ও দুই নাতনীর খোঁজ মেলেনি।
অপর এক রোহিঙ্গা নারী কেঁদে কেঁদে বলেন, আবছার নামের এক নৌকার মাঝির মাধ্যমে তার আত্মীয়রা এপারে আসছিলেন। কারো খোঁজ পাইনি। এদিকে নৌকা ডুবির খবর পেয়ে রোহিঙ্গা স্বজনরা সৈকতে ভিড় জমিয়েছে। অনেকে পরিচয় শনাক্ত করে আত্মীয়-স্বজনরা লাশ নিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় মেম্বার রশিদ মিয়া জানান, প্রতিনিয়ত রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছে। বিজিবিকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি আরো জানান, লাশের ব্যাপারে থানায় খবর দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহি উদ্দিন আহমেদ কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।