টানা বর্ষণে উখিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

2

উখিয়া প্রতিনিধি

টানা বর্ষণে উখিয়া উপজেলার ৫ ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামের ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দীর্ঘ ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হয় গেলেও কোন ধরনের সরকারি-বেসরকারি সাহায্য সহযোগিতা না পাওয়ায় ভানবাসি পরিবারগুলো মানবেতর দিন যাপন করছে বলে জানা গেছে।
সরজমিন উপজেলার বিভিন্নস্থান ঘুরে দেখা যায়, গত ৪দিনের টানা ভারি বর্ষণের ফলে পাহাড়ি ঢল ও জোয়ারের পানিতে অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। হলদিয়াপালং ইউনিয়নের পূর্ব মরিচ্যা এলাকায় বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে মোহাম্মদ রাকিব (৭) নামের ৭বছরের এক শিশু মারা গেছে। সেই ওই এলাকার আলী আকবরের ছেলে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া শিশুর লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে উপকূলীয় ইউনিয়ন জালিয়াপালংয়ের ইউপি সদস্য আবুল কালাম জানান, তার এলাকার প্রায় ৫টি গ্রামের ২শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব পরিবারের ঘরে থাকা ধান,চাউল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী নষ্ট হয়ে গেছে, পাশাপাশি জলাবদ্ধতার কারণে অসংখ্য গবাদি পশু, হাঁস,মুরগী মারা গেছে।
রাজাপালং ইউনিয়নের উত্তর পুকুরিয়া, খালকাচা পাড়াসহ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে বলে ইউপি সদস্য মীর সাহেদুল ইসলাম চৌধুরী রোমান জানিয়েছেন।
পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পালংখালী বাজার, থাইংখালী, রহমতেরবিল, ধামনখালীসহ কয়েকটি গ্রাম নাফনদীর জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। তবে বড় কোন ধরনের দুঘর্টনার খবর পাওয়া যায়নি।
হলদিয়ালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, হলদিয়ার ১০গ্রামের প্রায় ১৫হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এছাড়াও শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করে সরকারি অথবা বেসরকারি সাহায্য পাওয়া মাত্রই স্ব-স্ব ইউনিয়নে বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল মামুন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর হোসেন নিকট এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারি বর্ষণে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বারদের ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের তালিকা প্রেরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ঝুকিপূর্ণ পরিবার গুলোকে গত কয়েকদিন ধরে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া জন্য সিপিপিসহ বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কাজ করছে। ইউএনও আরো বলেন, তবে কি পরিমাণ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে তা এখন বলা যাচ্ছে না।