ঝড়ে গাছ পড়ে সীতাকুন্ডে মহাসড়ক বন্ধ ছিল ১ ঘণ্টা

4

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

বজ্রপাতসহ ভারী বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ড অংশে বড় বড় বেশ কয়েকটি গাছ পড়ে এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লাইনে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এরপর কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ও সীতাকুন্ড ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় এক এক করে গাছগুলো সরিয়ে মহাসড়ক সচল করেন। গতকাল সোমবার বিকালের দিকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে মহাসড়কের সীতাকুন্ড পৌরসভার পন্থিছিলা নামক এলাকায় মহাসড়কে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী লাইনে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুন্ড পৌরসভার পন্থিছিলা ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার বদিউল আলম জসিম ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিকেলের দিকে হঠাৎ করে প্রবল কালবৈশাখী ঝড়ের মধ্যে মহাসড়কের পন্থিছিলা মাদ্রাসার উত্তর পাশে একটি বড় গাছ সড়কে পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে ভাগ্যক্রমে কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। পরে আমি স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সহযোগিতায় গাছ এবং গাছের ডাল পালা সরিয়ে মহাসড়ক সচল করা হয়। এই সময়ের মধ্যে মহাসড়কের চট্টগ্রাম লাইনে যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুন্ডের কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, প্রবল ঝড় হাওয়ার পর মহাসড়কের পন্থিছিলা নামক এলাকায় একটি বড় গাছ মহাসড়কে পড়ে সড়কে যান চলাচল বিঘœ ঘটায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। এতে মহাসড়কের চট্টগ্রাম লাইনে এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। তবে গাড়ির চাপ কম থাকায় মহাসড়কে তেমন যানজটের সৃষ্টি হয়নি।
এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মাদামবিরহাট সালেহ্ কার্পেট নামক এলাকায় ছোট বড় কয়েকটি গাছ পড়ে মহাসড়কে যান চলাচল বিঘ্ন ঘটে। পরে সীতাকুন্ডের বার-আউলিয়া পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পড়ে থাকা গাছগুলো সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন বার-আউলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ওসি খোকন চন্দ্র ঘোষ। এছাড়াও সীতাকুন্ড উপজেলায় প্রবল ছোট হওয়ায় গাছ পড়ে বিভিন্ন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়। তবে ঝড়ো হাওয়ার পর থেকে সীতাকুন্ড উপজেলায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।