ঝুট ব্যবসা নিয়ে দু গ্রুপের সংঘর্ষ

15

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীর বাকলিয়া থানাধীন শাহ আমানত সেতু এলাকার গার্মেন্টস’র ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ জন আহত হন। এ সময় ২৮টি টেম্পু ভাঙচুর করা হয়। গতকাল রবিবার বিকেল ৪টার দিকে শাহ আমানত সেতু এলাকার চাক্তাইগামী সড়কে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় দোকানদার ও টেম্পু সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে বিষয়টি জানা যায়। একই সাথে চাক্তাই পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানা ও বাকলিয়া ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক অপূর্ব কুমার পাল ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় দোকানদাররা জানান, ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রæপের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। উভয় পক্ষে ৪ জন গুরুতর আহত হন। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি টেম্পু ভাঙচুর হয়। আহতরা হলেন মিঠুন রায় (২৯), মো. সেলিম (৩৮), মো. লোকমান (৪৪) ও মো. আলমগীর (৪৫)।
৩৫নং বক্সিরহাট ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম পূর্বদেশকে বলেন, ৫-৭ বছর ধরে আমিসহ আরও কয়েকজন ঝুট ব্যবসা করে আসছি। সেখানে যখন আমার ছেলেরা ঝুট নিতে যায়, তখন জানে আলমের (১৭নং অটোটেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক) ড্রাইভাররা আর ফয়েজুল্লাহ বাহাদুরের (৩৫নং বক্সিরহাট ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) অনুসারীরা হামলা চালিয়ে আমাদের ছেলেদের এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে। এতে আমাদের মিটু রায় ও সেলিম গুরুতর আহত হয়ে মেডিকেলে ভর্তি আছে। তারা আমাদের ব্যবসা নষ্ট করতে চাচ্ছে। এ নিয়ে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে ৩৫নং বক্সিরহাট ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়েজুল্লাহ বাহাদুর বলেন, গার্মেন্টস থেকে ১২ টাকা দরে ঝুট কিনে আমাদের ছেলেরা চলে গিয়েছিল। প্রায় ২-৩ ঘণ্টা পর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম ও চকবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনুর অনুসারী মামুন ও সুজন পাথরঘাটা থেকে ছেলে নিয়ে এসে আমাদের কর্মী ও সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের লোকমান এবং আলমগীর নামে দুইজন আহত হন। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। আমরা আহতদের পরিবারের সাথে কথা বলে মামলা করবো।
১৭নং অটোটেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জানে আলম বলেন, তারা নিজেরা ঝুট ব্যবসায় ভাগ-বাটোয়ারা করতে না পেরে আমাদের ওপর হামলা চালায়। ড্রামপট্টির মামুন, সুজন, মিটু, তুহিনসহ কয়েকজন এসে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদের ২৮টি টেম্পু ভাঙচুর করেছে। পথচারীসহ আমাদের কয়েকজন চালক আহত হন। তারা তো রাস্তায় এসে গাড়ি ভাঙতে পারে না। আমরা তো ঝুট ব্যবসার সাথে জড়িত নই। আমাদের কী দোষ? কিছু একটা হলে শুধু গাড়ির ওপর অত্যাচার হয় কেন? আমরা প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।
বাকলিয়া থানাধীন চাক্তাই পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানা বলেন, ‘বিকেল চারটার দিকে জুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। আমাদের পুলিশ টিম এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন সবকিছু স্বাভাবিক আছে।’
বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে জানিয়ে বাকলিয়া ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক অপূর্ব কুমার পাল পূর্বদেশকে বলেন, ‘গার্মেন্টস’র ঝুট নেওয়া নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর হয়। এখন (গতরাত ৯টা) রাস্তা সচল রয়েছে।’