জড়িত কর্মকর্তাকেই মাটি কাটা বন্ধের দায়িত্ব দিল ওয়াসা

11

নিজস্ব প্রতিবেদক

কর্মকর্তার যোগসাজশে ফতেয়াবাদে চট্টগ্রাম ওয়াসার জায়গা থেকে মাটি কেটে বিক্রি হচ্ছে। গত ৬ মে দৈনিক পূর্বদেশে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ‘কোটি টাকায় বিক্রি হচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসার মাটি!’ শিরোনামে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে মাটি কাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন ওয়াসা এমডি। তবে এক সপ্তাহ পার হলেও সে সিদ্ধান্তের কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যদিও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার দিন থেকে মাটি কাটা বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ওয়াসা সূত্র মতে, ‘কোটি টাকায় বিক্রি হচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসার মাটি! শিরোনামে পূর্বদেশে প্রতিবেদন প্রকাশের পর ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভ‚-সম্পত্তি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। যদিও অভিযোগ আছে, ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তার যোগসাজশেই চলছে এ মাটি কাটা। প্রতিবেদন প্রকাশের এক সপ্তাহ হলেও এখনও কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। সম্পত্তি রক্ষায় ওয়াসার কোন তদারকি ব্যবস্থাও নেই। বরং মাটি কাটায় যোগসাজশ থাকার অভিযোগ থাকা কর্মকর্তাকেই দেওয়া হয়েছে মাটি পদেক্ষপ নেওয়ার দায়িত্ব।
মাটি কাটা বন্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে- সেটা জানার জন্য ওয়াসার ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা বাবুল আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
একই বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, মাটি কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এস্টেট অফিসারকে বলা হয়েছে। তিনি সরেজমিন গিয়ে কাউকে পাননি। এছাড়া থানায় একটি জিডি করা হয়েছে বলে আমাকে জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, পূর্বদেশ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি আমাদের জন্য উপকার হয়েছে। এ নিয়ে এস্টেট অফিসারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, এতদিন মাটি কাটার পরও তা আমরা কেন জানতে পারলাম না?
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওয়াসার এক কর্মকর্তা বলেন, এস্টেট অফিসার নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য তালবাহানা শুরু করেছেন। নিজেই যেখানে জড়িত, সেখানে তিনি কি ব্যবস্থা নিবেন? এটার জন্য তো একটা তদন্ত কমিটি করা যেত। এতো মাটি বিক্রি হয়ে গেল, একটা জায়গা পুকুর বানিয়ে ফেলল, তারপরও সবাই চুপ করে আছে। শুনেছি, থানায় জিডি করা হয়েছে।