জুলাই থেকে স্থায়ী দোকানে পণ্য বিক্রি শুরু টিসিবির

3

ঢাকা প্রতিনিধি

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, আগামী ১ জুলাই মাস থেকে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে সারা দেশে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কার্ডধারীদের মধ্যে নিত্যপণ্য বিক্রি করা হবে। সেই সঙ্গে স্থায়ী দোকানগুলোতে পর্যায়ক্রমে পণ্যের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলেও জানা তিনি। তবে জায়গা পাওয়া সাপেক্ষে কোথাও কোথাও সময় লাগতে পারে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বারিধারা পার্কে আয়োজিত দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে মে মাসের টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিডের সময় জরুরি ভিত্তিতে ট্রাকসেলের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু করা হলেও এখন স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে কার্ডধারীদের মধ্যে পণ্য বিতরণ করা হবে। কোনো হয়রানি ছাড়াই সহজে নিত্যপণ্য সংগ্রহ করতে পারার জন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এসব দোকানে নিত্যপণ্যের সংখ্যাও পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে পবিত্র রমজান মাসে সারাদেশে নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল, পণ্যের দামও বাড়েনি। এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দেশে নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়িয়ে মূল্য স্থিতিশীল রাখার কাজ করে যাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে টিসিবির কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার চেষ্টা চলছে। টিসিবির পণ্য সরবরাহে যেন ঘাটতি না হয়, সে জন্য বিশ্ববাজারে যখন দাম কম থাকে তখন পণ্য আমদানির মাধ্যমে অন্তত ২-৩ মাসের ‘বাফার স্টক’ গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
পেঁয়াজের সরবরাহ নিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই। দামও স্থিতিশীল আছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি অবৈধ মজুদদার ও বাজারে সংকট সৃষ্টিকারী মুনাফালোভীদের বিরুদ্ধেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখার কথা জানান তিনি।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, চিনি আমরা রমজান মাসে দেই। রমজান মাসে চাহিদা বেশি থাকে। রমজান মাসের বাইরে চিনির চাহিদা অত বেশি থাকে না, সেজন্য চিনি আমরা দেইনি। এক কোটি পরিবারকে আমরা ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে (নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য) দিচ্ছি। দোকানগুলো হলে প্রয়োজন মতো পরামর্শ করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ন্যায্যমূল্যে দেওয়ার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি চাইব। তিনি যদি অনুমতি দেন, আমরা পরবর্তীতে সেটার ব্যবস্থা করব।
তিনি বলেন, আমরা ট্যারিফের প্রস্তাব দিয়েছি। মৌসুমে এক রকম ট্যারিফ থাকবে, যখন অফ সিজন তখন আমরা ট্যারিফ চেঞ্জ করে দেব। এই ডায়নামিক জিনিসগুলো আমরা করার চেষ্টা করছি। লক্ষ্য একটাই, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ যেন নিরবচ্ছিন্ন থাকে।