জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে বড় জয় পেল বাংলাদেশ

7

পূর্বদেশ ক্রীড়া ডেস্ক

জয়ের অর্ধেক কাজটা সেরেই রেখেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। চট্টগ্রামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ১২৪ রানে অলআউট করে। পরে ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে পরে বড় জয়ই পেল বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিমের ফিফটিতে ৮ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। বল হাতে ছিল ২৮টি। ম্যাচ জয়ের শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না বাংলাদেশের। দলীয় ৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১ রানে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। ওপেনিং সঙ্গী ফিরলেও দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে নেন তানজিদ তামিম। দুজনে মিলে ৫২ রানের জুটি গড়েন। ২১ রানে অধিনায়ক শান্ত ফিরলে জয়ের বাকি কাজটুকু তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে সারেন তিনি। ৩৬ বলে অপরাজিত ৬৯ রানের ঝোড়ো জুটি গড়ে বাংলাদেশকে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন তানজিদ তামিম এবং হৃদয়। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমেই দুর্দান্ত এক ফিফটি পেয়েছেন তানজিদ তামিম। ৪৭ বলে ৬৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন বাঁহাতি ওপেনার। ইনিংসটি সাজিয়েছেন ২ ছক্কা এবং ৮ চারে। ইনিংসটি খেলার পথে অবশ্য তিনবার জীবন পেয়েছেন তিনি। ব্লেসিং মুজরাবানির এক ওভারেই দুইবার জীবন পান। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পর অপর জীবন পান ১১তম ওভার করা রিচার্ড এনগারাভার বলে। আর ১৮৩.৩৩ স্ট্রাইকরেটে ৩৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন হৃদয়। তার ১৮ বলের ইনিংসে ১ ছক্কার বিপরীতে ৫ চার রয়েছে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শেখ মেহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১২৪ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। একটা সময় তো ১০০ হবে কিনা সেই শঙ্কাও জেগেছিল। কেননা ৪১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে তারা ধুঁকছিল। পরে অবশ্য সেই শঙ্কা উড়িয়ে দেন জিম্বাবুয়ের দুই ব্যাটার ক্লাইভ মাদান্দে (৪৩) ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা (৩৪)। দুজনে মিলে অষ্টম উইকেটে ৭৫ রানের জুটি গড়ে দলকে ১২৪ রান এনে দিয়েছেন। তাসকিনের মতো ৩টি উইকেট নিয়েছেন ১৮ মাস পর খেলতে নামা সাইফউদ্দিন। আর ২ উইকেট নিয়েছেন শেখ মেহেদী।