জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করবে ইসি

1

পূর্বদেশ ডেস্ক

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের দুই ভাইয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতির ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব শফিউল আজিম। গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ প্রতিশ্রুতির কথা বলেন।
ইসি সচিব বলেন, এজন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে। ওনারা প্রথমে কীভাবে ভোটার হয়েছিলেন, কোন কোন তথ্যগুলো এখানে এসেছে, আমরা একেবারে আদ্যোপান্ত শুরু কীভাবে হলো, কোথায় উলট-পালট হলো, ডিটেইল তারা তদন্ত করেছে। তদন্ত কমিটি আমাদের কাছে আরও সময় চেয়েছে। আমি মনে করি যে, আরও সময় লাগতে পারে। আমরা আরও বিস্তারিত ও নিঁখুতভাবে তদন্তটা করতে চাই, যাতে কোনো ধরনের ফাঁক-ফোকর না থাকে। তদন্ত কমিটি ওপর আমাদের আস্থা আছে। তারা কাজ করছে। আপনাদের আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। আরও দুই সপ্তাহ সময় চেয়েছে। কারণ ওনারা শুরু থেকে এই পর্যন্ত অনেকগুলো ডকুমেন্ট জমা দিয়েছিলেন। সব ডকুমেন্ট যোগাড় করা, পরীক্ষা করা, সোর্সে গিয়ে এগুলো আবার ভেরিফাই করা, আমরা চাচ্ছি বৈজ্ঞানিকভাবে যাতে কোনো ধরনের কোথাও খুঁত না থাকে। আমরা চাই না, আবার আরেক ধরনের ভুল হোক। খবর বাংলানিউজের।
সন্দেহের আওতায় ইসির কর্মকর্তারা বা তাদের যোগসাজশ আছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, যেই থাকুক কেউ সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। আমরা সবাইকেই সন্দেহ করছি। আবার এটা তদন্তেই প্রমাণ করতে হবে। এতটুকু কথা দিতে পারি, বিন্দুমাত্র কারও যদি এখানে ইনভলমেন্ট থাকে, তার আইন অনুযায়ী যে সর্বোচ্চ শাস্তি সেটা আমরা এনশিউর করবো।
জানা গেছে, আজিজ আহমেদের দুই ভাই হারিছ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ (জোসেফ) নিজেদের নামের পাশাপাশি বাবা-মায়ের নামও পরিবর্তন করেছেন। হারিছ আহমেদ তার নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন মোহাম্মদ হাসান। আর জোসেফ নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন তানভীর আহমেদ তানজীল। তাদের এনআইডির তথ্য পরিবর্তনে আজিজ আহমেদ সুপারিশ করেন বলে অভিযোগ ওঠে।