চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ

3

বান্দরবান প্রতিনিধি

সরকারি চাকরিজীবী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিধি-নিষেধ থাকলেও তথ্য গোপন করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিউল্লাহর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
গত মঙ্গলবার মনোনয়ন ও সরকারি চাকুরী চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটে আবেদনটি প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল ইস্যু করে আদেশ দিয়েছেন। আদেশে আগামি ৪ সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে রিট আবেদনে মোহাম্মদ শফিউল্লাহর পাশাপাশি প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক শফিউল্লাহ সরকারি চাকরিজীবী- এ তথ্য গোপন করে তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়েছেন। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি হাজী এম এ কালাম সরকারি কলেজের শিক্ষক হিসেবে গেজেটভুক্ত। ২০২৩ সালের ২৫ জুলাই প্রকাশিত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ-৫ শাখার প্রজ্ঞাপনে মোহাম্মদ শফিউল্লাহর নাম রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রভাষক হিসেবে ১০ নম্বর ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে; যার ইনডেস্ক নং-৮৩৪৯১৯। নির্বাচনী হলফনামায় তিনি আয়ের উৎস হিসেবে দোকানের পাশাপাশি চাকুরী উল্লেখ করেছেন। হলফনামা যাচাই-বাছাইয়ে তার মনোনয়নপত্র বৈধও ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দাখিল করা নির্বাচনী হলফনামায় অধ্যাপক শফিউল্লাহ তার সরকারি চাকুরীর তথ্য উল্লেখ করেননি।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করা হলে অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ বলেন, আমি গত উপজেলা নির্বাচনে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছি। এখনো তালিকায় নাম থাকলে সেটা আমি জানিনা। সেটা কলেজ কর্তৃপক্ষ জানবে। অব্যাহতি নেয়ার পরও কেন তালিকায় আমার নাম আছে তা আমার জানবার বিষয় নয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি হাজী এম এ কালাম সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জাফর আলম বলেন, অধ্যাপক শফিউল্লাহ একসময় কলেজে ছিলেন। গেজেটেও তার নাম আছে। তবে তিনি কলেজ থেকে বেতন নেন না বা ক্লাসও করান না। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে রয়েছি। আপনি শফিউল্লাহ’র সঙ্গে কথা বললে বিস্তারিত জানতে পারবেন।