চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল আহসান ৮ দিনের রিমান্ডে

3

কোটা সংস্কার আন্দোলনে হকার শাহজাহান হত্যা মামলায় চাকরিচ্যুত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আট দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। ঢাকার মহানগর হাকিম আরাফাতুল রাকিব শুক্রবার তার রিমান্ডের আদেশ দেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, জিয়াউলকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাইলে আইনজীবী নাজনীন নাহার এর বিরোধীতা করে জামিন চান। শুনানি নিয়ে বিচারক তার আট দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কোটা আন্দোলনের হকার শাহজাহানকে হত্যার অভিযোগে ঢাকার নিউ মার্কেট থানায় মামলা হলে বৃহস্পতিবার রাতে খিলক্ষেত থেকে জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। টেলিযোগাযোগ নজরদারির জাতীয় সংস্থা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক ছিলেন তিনি। খবর বিডিনিউজ’র
জিয়াউল ছাড়াও এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দশ দিন রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
সরকার ক্ষমতার পালাবদলের পর সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে রদবদলের ধারাবাহিকতায় গত ৬ আগস্ট তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় জিয়াউল আহসানকে।
১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন পাওয়া জিয়াউল সেনাবাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও প্যারাট্রুপার ছিলেন। ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে তিনি র‌্যাব-২ এর উপঅধিনায়ক হন।
ওই বছরই তিনি পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হন এবং র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালকের দায়িত্ব পান। র‌্যাবে দায়িত্ব পালনের সময় থেকেই জিয়াউল আহসান হয়ে উঠেছিলেন সংবাদমাধ্যমে পরিচিত নাম।
কর্নেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক করে তাকে র‌্যাবেই রেখে দেওয়া হয়।২০১৬ সালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে জিয়াউল আহসানকে পাঠানো হয় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) পরিচালকের দায়িত্বে। পরের বছরই এনটিএমসির পরিচালক করা হয় জিয়াউল আহসানকে। ২০২২ সালে সংস্থাটিতে মহাপরিচালক পদ সৃষ্টির পর তাকেই সংস্থাটির নেতৃত্বে রাখা হয়েছিল।