চন্দনাইশ থানায় পুলিশের কার্যক্রম শুরু

5

চন্দনাইশ প্রতিনিধি

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর পরই সারা দেশের মতো চন্দনাইশ থানা পুলিশও তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। গত রবিবার ৬ দিন পর পুলিশ কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে যোগদানের ঘোষণা দেয়। গতকাল সোমবার চন্দনাইশ থানায় কাজে যোগ দিয়েছেন থানা পুলিশ। শুরু হয়েছে থানার কার্যক্রমও।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগ সরকারের গণঅর্ভূত্থান ঘটে। দীর্ঘদিনের ক্রোধ, ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর নির্বিচারে গুলি, খুন ও গুম এবং হয়রানি-নির্যাতনের দরুণ পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা চালানো হয় সারাদেশেই। প্রতিবাদে ১১ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে পুলিশ। সে থেকে দীর্ঘ ৬ দিন কর্মবিরতি পালন শেষে কাজে যোগ দেন তারা। ফলে স্বস্তি ফিরেছে চন্দনাইশের সাধারণ মানুষের মাঝে।
পুলিশের অনুপস্থিতিতে সেনাবাহিনী থানা’র ক্যাম্পাসে থেকে সাধারণ মানুষের অভিযোগ শোনার চেষ্টা করেছেন। দীর্ঘ ৬ দিন ধরে চন্দনাইশের পুলিশের কর্ম বিরতি অব্যাহত থাকার কারণে পাহাড়ি এলাকা ধোপাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ, বরমা ইউনিয়ন পরিষদ, চন্দনাইশ পৌরসভা ভাঙচুর করে। চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত আকতারুজ্জামান রবিউল, নৈশপ্রহরী বেলাল উদ্দীন, পৌরসভা মৌলভী বাড়ির মো. রোকনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে দুর্বৃত্তরা ব্যাপক ক্ষতির সাধন করে।
অপরদিকে ধোপাছড়িতে এক কৃষকের লক্ষাধিক টাকার পেপে বাগান বিনষ্ট করে, ধোপাছড়ি বাজারে এক ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও ভাঙচুর করে। ধোপাছড়ি প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ছালেহ’র পরিবারের উপর হামলা করে ৬ জনকে আহত করে দুর্বৃত্তরা।